আওয়ার ইসলাম: যার ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মহানবী সা.-কে কটূক্তির কারণে ভোলার বোরহানউদ্দিনে সংঘর্ষ হয়েছে, সেই বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভসহ তিনজনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার ভোলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদ আলম তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো অন্য দুইজন হলেন-বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া ইউনিয়নের মুহা. ইমন (১৮) ও রাফসান ইসলাম শরীফ ওরফে শাকিল (১৮)।
এর মধ্যে শাকিলকে রোববার পটুয়াখালীর গলচিপা এবং ইমনকে কাচিয়া থেকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
অন্য ৭-৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামির সঙ্গে ‘পরস্পর যোগসাজশে’ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ইসলাম ধর্ম ও মহানবী সা.-কে নিয়ে কটূক্তি এবং ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
রোববার বোরহানউদ্দিন থানায় উপপরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন তাদের বিরুদ্ধে আইটি আইনে মামলাটি করেন। বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের খারাকান্দি গ্রামের চন্দ্র মোহনের ছেলে। ইমনের বাড়ি উপজেলার উদয়পুর এলাকায় এবং শাকিল উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের নুরে আলমের ছেলে। শাকিল পটুয়াখালীর কলাপাড়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে স্টোরকিপার হিসেবে চাকরি করেন।
প্রসঙ্গত, ফেসবুকে আল্লাহ ও মহানবী স. কে ‘কটূক্তি’র জেরে রোববার তৌহিদি জনতার ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ তাড়াতাড়ি শেষ করার নির্দেশ দেয় পুলিশ। পরে পুলিশ ও বিক্ষোভে আগত তৌহিদি জনতার সংঘর্ষ হয়। এতে চার ব্যক্তি বুলেটবিদ্ধ হয়ে নিহত ও শতাধিক আহত হন।
নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার মহিউদ্দিন পাটওয়ারীর মাদরাসাছাত্র মাহবুব (১৪), উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দেলোয়ার হোসেনের কলেজপড়ুয়া ছেলে শাহিন (২৩), বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫) এবং মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)।
সহিংসতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সারাদেশে পুলিশকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে।
-এএ