আওয়ার ইসলাম: প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে তালিম মল্লিক (১৯) নামে এক ছাত্রলীগকর্মী খুন হয়েছেন। পরিবারের দাবি, পূর্ববিরোধের জেরে রাজা নামে এক তরুণের ছুরিকাঘাতে তালিমের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার মাজারের প্রধান গেটে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে হওয়ার কথা।
তালিম মল্লিককে হত্যার খবর পেয়ে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা খান হাবিবুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান।
নিহত তালিম মল্লিক বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের সিংড়াই গ্রামের ইয়াছিন মল্লিকের ছেলে।
তিনি দুই বছর আগে স্থানীয় খানজাহান আলী মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করেন। এরপর তিনি মোটর ড্রাইভিং শিখছিলেন।
নিহতের প্রত্যক্ষদর্শী বন্ধু আমিনুল ইসলাম এই প্রতিবেদককে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রতিদিনের মতো আমি ও তালিম মাজার মোড়ে চা খেতে যাই।
যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে তালিম তার মোবাইল ফোনে টাকা ফ্ল্যাক্সিলোড করার কথা বলে চায়ের দোকান থেকে উঠে দোকানের দিকে যাওয়ার পথে মাজার গেটে দাঁড়িয়ে থাকা রাজা তার বুকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
নিহতের চাচা ইলিয়াস মল্লিক বলেন, দুই দিন আগে আমার ভাতিজা তালিমের সঙ্গে তার একসময়ের সহপাঠী রাজার বিরোধ হয়। তবে সেই বিরোধটা কী জানতে পারিনি। সেই বিরোধের জেরে আমার ভাতিজাকে রাজা ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।
বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাহিয়ান আল সুলতান ওশান বলেন, তালিম মল্লিক ছাত্রলীগের সব ধরনের কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিত।
তার দলে কোনো পদ না থাকলেও সে একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মাহাতাব উদ্দীন বলেন, রাজাকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
-এটি