আওয়ার ইসলাম: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় এক মাদরাসা ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো দুই জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা রানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলামপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম সাব্বির মিয়া (১০)। সাব্বির নবীগঞ্জের কামারগাঁও নগরকান্দি গ্রামের আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে। আলমপুর গ্রামের একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশের বরাতে জানা যায়, আলমপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মজনু মিয়া ও তার ভাই খালেদ মিয়ার মধ্যে স্থানীয় কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী বাসস্ট্যান্ডের মালিকানা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছে।
ওই বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন মজনু মিয়ার ছেলে নোমান আহমদ। এই বিরোধকে কেন্দ্রে করে আজ বিকেলে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈঠক বসে। বৈঠকে মজনু মিয়া উপস্থিত হননি।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার পদ থেকে মজনু মিয়ার ছেলে নোমানকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার। এই সিদ্ধান্ত জানাতে বাসস্ট্যান্ডের শ্রমিক নেতা আলমপুর গ্রামের ইজাজুল ইসমাম, মমরাজ মিয়া গংরা মজনু মিয়ার বাড়িতে যান।
এমন সময় মজনু মিয়ার সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপযার্য়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়েন। সংর্ঘষকালে ঘটনাস্থল এলাকায় শিশু সাব্বির দাঁড়িয়ে ছিল। ওই সময় প্রতিপক্ষের বন্দুকের গুলিতে শিশু সাব্বির নিহত হন।
এ ঘটনায় আলমপুর গ্রামের আকরব আলী (২৭) ও মুজাম্মেল হোসেন (৩০) নামে আরো দু’জন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক শারমিনা আরা আশা জানান, ঘটনাস্থলে শিশুটি মারা যায়। তার শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরো দু’জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জগন্নাথপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান জানান, বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার পদ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
-এটি