আওয়ার ইসলাম: ক্যাসিনো কাণ্ডের জের ধরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী ও তাদের স্বজনদের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে দুজন সংসদ সদস্যের নাম।
তাদের নাম না জানালেও, দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান বলছেন, দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে, এক্ষেত্রে কোনো দল-মত দেখা হবে না।
ক্যাসিনোসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর পর পরই সামনে আসে এর সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীর নাম।
এ অবস্থায় অভিযুক্তদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে দুদক। করণীয় ঠিক করতে সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে সব উপপরিচালক, পরিচালক, মহাপরিচালক ও সচিবকে নিয়ে হয়েছে দুদকের বৈঠক। এসময় দেয়া হয় ভোলা ও কুমিল্লার দুই সংসদ সদস্য, একাধিক যুবলীগ নেতাসহ ক্ষমতাসীন দলের শতাধিক নেতাকর্মীর অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের দিক-নির্দেশনা।
তবে আওয়ামী লীগের বেশ কজন দুর্নীতিবাজ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানালেও, কোনো ব্যক্তি বিশেষের নাম বলতে রাজি হননি দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান।
ক্যাসিনো ও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে নাম আসেনি, এমন কিছু দুর্নীতিবাজ ব্যক্তির তথ্য-প্রমাণও সংগ্রহ করছে দুদক। আদালতে উপস্থাপনযোগ্য তথ্য পেলেই নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতির কথা বিবেচনায় রেখেই কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে দুদক।
-এটি