আওয়ার ইসলাম: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্মভিত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।
তিনি বলেন, মতপ্রকাশ, ধর্ম পালন এবং জনগণের কল্যাণে আদর্শিক রাজনীতির চর্চা করা সংবিধানপ্রদত্ত মৌলিক অধিকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে সংবিধানপ্রদত্ত এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করার এখতিয়ার ডাকসু এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নেই। রাষ্ট্রে যেখানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, সেখানে ঢাবি ক্যাম্পাসে তা কিভাবে নিষিদ্ধ হতে পারে?
শুক্রবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের নিয়মিত বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এসব কথা বলেন।
মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত মতপ্রকাশের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। কোনো আদর্শকে দাবিয়ে রাখা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ নয়। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে যেখানে দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যায় না এবং এতে যখন পুরো জাতি লজ্জিত ও স্তম্ভিত তখন ঢাবি ও ডাকসু আসল কাজ বাদ দিয়ে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে জনগণের ক্ষোভকে আরো বাড়িয়ে দিল।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত হয়। দেশের জনগণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক নয়; বরং সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি নির্ভর রাজনীতি নিষিদ্ধ চায়।
তিনি বলেন, দেশে আজ ভয়াবহ দুর্নীতি ও সামাজিক অনাচার চলছে। ৮৯ শতাংশ মানুষ প্রাত্যহিক জীবনে ঘুষ-দুর্নীতির শিকার হচ্ছে। দুর্নীতিতে সরকারের নাক ডুবে যাওয়ার অবস্থা।
মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, সাংবিধানিকভাবে মদ ও জুয়া নিষিদ্ধ হলেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ‘ক্যাসিনো-সম্রাটরা’ সম্পদের পাহাড় গড়েছে। ক্যাসিনো নিষিদ্ধ হলেও বিদেশে থেকে ক্যাসিনো সামগ্রী কিভাবে আমদানি করা হলো এবং প্রশাসনের নাকের ডগায় কিভাবে ক্যাসিনো বাণিজ্য চলেছে তা জনগণ জানতে চায়। শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘববোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর সহ-সভাপতি আনোয়ার হুসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।- বিজ্ঞপ্তি
আরএম/