আওয়ার ইসলাম: যারা আইন ও সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মীয় ছাত্র রাজনীতির নামে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের অপচেষ্টা করছে, তাদের পরিণতি শোভন-রাব্বানীর চেয়েও খারাপ হবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাসদ, বাসদ ও লীগের রাজনীতি চললে ইসলাম ও খেলাফতের রাজনীতিও চলবে। ষড়যন্ত্র করে ধর্মীয় ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা যাবে না। নাগরিক হিসেবে প্রত্যেকের সংগঠন ও রাজনীতি করার যেমন অধিকার আছে, ঠিক তেমনিভাবে ধর্মীয় সংগঠন ও রাজনীতি করারও অধিকার রয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ডাকসু’র বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নবাব স্যার সলিমুল্লাহ বাম-রামদের রাজনীতি চর্চার জন্য ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেননি। বরং একজন মুসলিম হিসেবে ইসলামী রাজনীতি চর্চার জন্যই ঢাবি প্রতিষ্ঠা করেন। সুতরাং যারা আইন ও সংবিধানের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মীয় ছাত্র রাজনীতির নামে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধের অপচেষ্টা করছে, তাদের পরিণতি শোভন-রাব্বানীর চেয়েও খারাপ হবে।
ডাকসুকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যেখানে দেশের সংবিধান ধর্মীয় রাজনীতির অনুমোদন দিয়েছে, সেখানে ডাকসু ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কে?
বক্তারা বলেন, যদি অথর্ব ডাকসু তাদের এই অসাংবিধানিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করে তাহলে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের নেতৃত্বে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মোহাম্মাদপুরের আল্লাহ করীম জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে টাউনহল কেন্দ্রীয় শহীদপার্ক মসজিদ চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. ফজলুর রহমান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ জাকির হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাও. রাকীবুল ইসলাম। খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মোশাররফ হোসেন। কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবরারুল হক নোমান। সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান প্রমূখ।
আরএম/