সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আজ আমরা ঢাকাব্যাপী এক ধরনের শুদ্ধি অভিযান দেখতে পাচ্ছি। যে সমস্ত ক্লাবগুলো নিজেদেরকে বিনোদনের কেন্দ্র হিসেবে পরিচয় দিতো, প্রশাসনের অভিযানের পর স্পষ্ট হয়েছে সেখানে বিনোদনের ব্যবস্থা ছিলো না। বরং সেখানে নিত্যদিন জুয়া, মদ, ও অশ্লীলতার আয়োজন করা হতো।
আজ শুক্রবার বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা জেলা উত্তর শাখা জোন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতি এতদিন জানতো সেখানে খেলাধুলা হয়, শুধুমাত্র বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয় হঠাৎ তারা আবিষ্কার করল এ সমস্ত ক্লাবে মদ, জুয়া ও অশ্লীলতার আখড়া বসে। সেখানে শত শত কোটি টাকার জুয়া হয়। ক্যাসিনোর নামে সেখানে অশ্লীলতার আসর জমানো হয়। এ সমস্ত ক্লাবের নামে পুরো ঢাকার ইসলামী ঐতিহ্য ধ্বংসের পাঁয়তারা চালাচ্ছে একটি চিহ্নিত মহল।
দেশীয় সিদ্ধান্ত দেশের ভেতর হচ্ছে না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আমাদের দেশের অবস্থা খুব বেশি একটা ভালো নয়। আজ দেখা যাচ্ছে এ দেশের ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্যের সাথে সম্পৃক্ত এমন বিষয়ের সিদ্ধান্তও এদেশের ভেতর হচ্ছে না বরং বাহিরে থেকে আমাদের উপর তাদের মনগড়া সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে।
যুব মজলিসের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠায় আমাদের উদার হতে হবে। উদারতার চর্চা করতে হবে। শুধু নিজের দল বা নিজের নেতা ভালো বাকিরা খারাপ- এই ধরনের মনোভাব আমাদের মধ্য থেকে দূর করতে হবে। দীনি কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে এবং সমস্ত সংগঠনের বিষয়ে উদার মানসিকতা ধারণ করতে হবে।
‘যারা আল্লাহর দ্বীনকে কায়েম করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তাদের সকলকে সহযোদ্ধা মনে করতে হবে। এদেশের বুকে বৃহত্তর ইসলামী ঐক্য গঠনে খেলাফত যুব মজলিস নেতৃবৃন্দ ও কর্মীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। দলান্ধতা পরিত্যাগ করতে হবে’।
মুফতি খন্দকার কাউসার হুসাইনের সভাপতিত্বে, মুফতি নাজমুল হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মাওলানা আলী আজম, মাওলানা এমদাদুল্লাহ, মাওলানা ইদরিস আলী, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা জাকির হুসাইন সহ আরও অনেকে।
-এএ