আবদুল্লাহ তামিম: জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমশই উত্তাপ বাড়ছে। এরই মধ্যে শীতল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে এ দু’দেশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের সভাপতিত্বে সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকেও ছড়িয়ে পড়ল কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সংঘাত।
শীতল যুদ্ধে একে অপরকে বয়কটও করেছে। কোনও ঘোষণা ছাড়াই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উদ্বোধনী বক্তব্যের সময় বের হয়ে গিয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করও মাহমুদ কুরেশির বক্তব্যের সময় বের হয়ে যান। শাহ মাহমুদ কুরেশি ঘোষণা করেন, তার দেশ ‘কাশ্মীর’এর অবরুদ্ধ অবস্থা স্বাভাবিক না করা পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কোনও সম্মেলনে একসঙ্গে যোগ দেবে না জড়িত থাকবে না, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া।
সার্কের বৈঠকের পরে এস জয়শঙ্কর টুইট করেছেন, আমাদের সামনে প্রকৃতঅর্থেই কেবল সুযোগ হাতছাড়া করাই নয়, ইচ্ছাকৃত বেশ কিছু বাধাও রয়েছে।
সন্ত্রাসবাদ তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের দৃষ্টিতে সন্ত্রাসবাদকে সমস্ত রূপে নির্মূল করা কেবল পূর্ববর্তী শর্তই নয় এটা আবশ্যিক। আমাদের নিজেদের অঞ্চলে নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য কেবল ফলপ্রসূ সহযোগিতার প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার, ইমরান খানের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসান টুইট করে জানায় যে, কুরেশি সার্ক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে এস জয়শঙ্করের বক্তব্য চলাকালীন তিনি সেখানে উপস্থিত থাকতে রাজি হননি।
এদিকে আজই (শুক্রবার) রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার জন্যে উপস্থিত থাকার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
তাই সকলের নজর এখন আজকের এই বৈঠকের দিকে। পাশাপাশি যেভাবে ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মুখোমুখি হওয়া এড়ালেন পাক বিদেশমন্ত্রী, আবার তারও মুখোমুখি হওয়া থেকে বিরত থাকলো জয়শঙ্কর।
তাতে এই জল্পনাও উস্কে উঠছে যে, আজ (শুক্রবার) প্রধানমন্ত্রী মোদির ভাষণের সময় সেখানে উপস্থিত থাকবেন তো পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান? আবার মোদিও কি কোনো অজুহাদে সেখান থেকে সরে পরবেন কি না, ইমরান খানের বক্তব্যের সময়। কেননা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পর ওই একই অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রীরও।
-এটি