আওয়ার ইসলাম: হঠাৎ শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলবর্তী প্রদেশ মালাকু। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫। এতে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুসহ বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা 'রয়টার্স' জানায়, আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে প্রদেশটির রাজধানী অ্যামবন থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কম্পনটি আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার গভীর।
প্রদেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে অ্যামবনসহ পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোর বহু বাড়িঘর বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া আতঙ্কিত লোকজন এরই মধ্যে আশপাশের পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ দিকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম কর্মী বেনি বুগিস জানান, কম্পনের ফলে স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একাংশ ধ্বসে পড়েছে। এতে একজনের মৃত্যুসহও বেশ কিছু লোক গুরুতর আহত হয়েছেন।
অন্য দিকে অ্যামবনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা আলবার্ট সিমায়েলা বলেছেন, লোকজন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে মোটরসাইকেল বা গাড়িতে চেপে অথবা পায়ে হেঁটে নিকটস্থ পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো সুনামি সতর্কতা না থাকলেও জনগণ বেশ ভয়ে আছেন। লোকজন অ্যামবন ছেড়ে যাওয়ায় এরই মধ্যে গোটা শহরটি সুনশান হয়ে পড়েছে।
এর আগে গত বছরের একই সময়ে মালাকুতে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। পরবর্তীতে যার ফলে বড় আকারের একটি সুনামির সৃষ্টি হয়, যাতে প্রায় চার হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি হয়।
২০০৪ সালে আঘাত হানা ভূমিকম্পের পর ভারত মহাসাগর থেকে সৃষ্ট সুনামি ইন্দোনেশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী ১৪টি দেশে আছড়ে পড়ে। যাতে কেবল ইন্দোনেশিয়াতেই প্রাণ হারায় প্রায় এক লাখ ২০ হাজারেরও অধিক জনগণ। পরবর্তীতে বিভিন্ন জরিপের ফলাফল একত্রিত করে দেখা যায়, ভয়াবহ সেই তাণ্ডবে সব মিলিয়ে প্রায় সোয়া দুই লাখেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।
-এএ