আওয়ার ইসলাম: পাকিস্তানকে ‘টেররিস্তান’ অ্যাখ্যা দিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্য, সন্ত্রাসে মদদ দেওয়া দেশের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার ঘোর বিরোধী ভারত। তার দাবি, কাশ্মীর ইস্যুর মোকাবিলায় সন্ত্রাসবাদকে ঘিরে একটা ইন্ডাস্ট্রি তৈরি করে ফেলেছে পাকিস্তান।
আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বের) নিউ ইয়র্কে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভায় পাকিস্তানকে অমন তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভারতীয় বিদেশমন্ত্রী।
দু’দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয় হিসাবে কাশ্মীর ছাড়াও আরও বড় ইস্যু রয়েছে বলে মত তাঁর। এবং তা হল সন্ত্রাসবাদে পড়শি দেশের মদত জুগিয়ে চলা।
কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ বা রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাঙার ফলে ভারতের বাইরের মানচিত্রে যে রদবদল ঘটেনি, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় এই মন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু টেররিস্তানের সঙ্গে কোনো কথা চলতে পারে না। অর্থাৎ পাকিস্তান ও টেররিস্তান একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ।
জয়শঙ্কর বলেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর পাকিস্তান এবং চীন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কিন্তু এই দুই দেশের অ্যাজেন্ডা ভিন্ন। পাকিস্তানের কাছে শুধু কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা নয়, বৃহত্তর লক্ষ্যে কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ভারতের জন্যই তৈরি করা হয়েছে জঙ্গি সংগঠনগুলো। জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের ব্যাঘাত ঘটায় বিচ্ছিন্ন পরিবেশ তৈরি হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে। আর সেটাকেই কাজে লাগাচ্ছে পাকিস্তান।
জয়শঙ্করের যুক্তি, সমস্যা হচ্ছে পাকিস্তানের মানসিকতা। কাশ্মীর নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথ্যা হলে, মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলা চালানো হল কেন? মুম্বাইয়ের সঙ্গে তো কাশ্মীরের সম্পর্ক নেই।
গত ৫ আগস্ট ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ দেশটির সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বাতিল হয়ে যায়।
রাষ্ট্রপতির আদেশে এখন জম্মু-কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত হবে। এনিয়ে প্রতিবেশি দুই দেশের মাঝে তীব্র উত্তেজনা চলছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
-এটি