আওয়ার ইসলাম: ঢাকা-চট্টগ্রামের ক্যাসিনোগুলোর সব কারবারই অবৈধ। এখানে কর্মরত নেপালিরা মিথ্যা ঘোষণায় বাংলাদেশে এসে এসব ক্যাসিনোতে কাজ করছিলেন।
গতকাল রোববার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অভিযানে এমন তথ্যই মিলেছে।
ওই ক্যাসিনোতে জব্দ করা নানা নথির মধ্যে সেখানে কর্মরত নেপালের নাগরিকদের বেতনের তালিকাও মিলেছে। সেখানে দেখা যায়, ওই ক্যাসিনোতে ১৫ জন নেপালের নাগরিক কাজ করছিলেন।
এদের প্রত্যেকের বেতন ছিলো সর্বনিম্ন ৫১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার টাকা। এই বেতন ডলারে পরিশোধ করা হতো।
নথিতে দেখা যায়, নেপালের এই নাগরিকরা মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা নিয়েছে। কাগজে কলমে তারা নিজেদের গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী বলে দেখিয়েছে। সেই কাগজের উপর ভিত্তি করেই তাদের ভিসা মিলেছে।
কিন্তু বাংলাদেশে এসে তারা কাজ করছিলো অবৈধ ক্যাসিনোগুলোতে। তবে মোহামেডান ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করার সময় এদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশের ধারনা, ক্যাসিনোতে কাজের উদ্দেশ্যেই তারা বাংলাদেশে আসে। নেপালে ক্যাসিনো ব্যবসা বৈধ, তাই সেখানে ক্যাসিনো পরিচালনায় অভিজ্ঞ লোকবল পাওয়া সহজ। এ ছাড়া নেপালিদের বেতন তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় বাংলাদেশের ক্যাসিনোগুলোতে এদের চাহিদা রয়েছে।
এমন কতোজন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে ক্যাসিনোগুলোতে কাজ করছে তার সঠিক হিসাব পুলিশের কাছে নেই।
তবে নেপালিদের পাশাপাশি কিছু চীনা নাগরিকও এসব ক্যাসিনোতে কাজ করতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের প্রায় সকলেই অবৈধভাবে এই কাজ চালিয়ে আসছিলো। এদের ধরার জন্য পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে।
-এটি