আওয়ার ইসলাম: গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে র্যাবের ক্যাসিনো-টেন্ডারবাজি-বিরোধী অভিযানে আটক হওয়ারা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের টাকা দিয়ে চলতো এসব ক্যাসিনো। এর প্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি তদন্ত করে তৈরি হচ্ছে চক্রের প্রধানদের তালিকা। পাশাপাশি ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কীভাবে দেশে আনা হলো তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার পর চট্টগ্রামেও ক্যাসিনো ও জুয়ার আসরে চালানো হয় অভিযান। ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে খেলাধুলা ঠিকমত না হলেও প্রতিদিন সন্ধ্যার পর শুরু হয় মদ-জুয়া আর ডিসকোর আসর।
প্রধানমন্ত্রীর কড়া শাসনের পর যুবলীগের প্রভাবশালী নেতাদের ধরতে শুরু হয় অভিযান। যুবলীগের খালেদ ও ঠিকাদার জি কে শামীম, কলাবাগান ক্লাবের ফিরোজকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে অবাক করার মত তথ্য পাওয়া যায়।
সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের টাকা দিয়ে চলতো এসব ক্যাসিনো। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে চক্রটির হোতাদের তালিকা করা হচ্ছে। পাশাপাশি এসব ক্যাসিনোর সরঞ্জাম কিভাবে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছে তাও তদন্ত চলছে।
জিঙ্গাসাবাদে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা সরকারের উচ্চ মহলে পাঠানো হয়েছে। বেশ কিছু নেপালি ও চীনের নাগরিক পল্টন ও মতিঝিলে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো এবং এসব ক্যাসিনোর মেশিন পরিচালনা করতো। অভিযানের পরপরই বাসা থেকে পালিয়ে যায় তারা।
এরই মধ্যে যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ ও প্রশাসনের দেড় শতাধিক ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইমিগ্রেশন পুলিশে চিঠি দেয়া হয়েছে।
-এটি