আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা সাইয়্যিদ মাহমুদ মাদানি বিজেপি সভাপতি ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন।
গতকাল শনিবার জমিয়তে উলামা হিন্দের সভাপতি ও দারুল উলূম দেওবন্দের সিনিয়র উস্তাদ কারী মাওলানা উসমান মনসুরপুরীর নেতৃত্বে উলামায়ে কেরামের একটি দল অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের সময় মাওলানা মাহমুদ মাদানি বলেছেন, যদিও আমরা সরকারের সাথে অনেক বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করি, তবে যেখানে জাতীয় স্বার্থের বিষয়টি উদ্বেগজনক সেখানে আমরা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াব।
‘তাই আমাদের পরিচালনা কমিটি কাশ্মীর বিষয়ে আলোচনা করতে স্পষ্ট করে বলেছে। কাশ্মীরের মুসলিমরা আমাদেরই ভাই। আমরা তাদের আলাদা করতে পারি না। ভারতীয় মুসলমানরা সর্বপ্রকার বিচ্ছিন্নতার বিরোধী। আমরা কাশ্মীরের মানুষের উপর কোনো ধরনের নির্যাতন চাই না।’
তিনি আরো বলেন, আপনারা আসামে মুসলমানদের হয়রানি করার প্রচেষ্টা এবং পুরো দেশে এনআরসি বাস্তবায়ন ও আপনার বক্তব্য হুমকির মুখে পড়েছে, আপনার যদি সঠিক ব্যাখ্যা থাকে তবে আমরা জানতে চাই।
‘জাতীয় স্বার্থে আরও ভাল হবে যে এটি বন্ধ করা। আমরা ইউএপিএ-র সংশোধনীর প্রস্তাবকে অনুমোদন দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি যে সন্ত্রাসবাদ রোধে এই সংশোধনীটি অপরিহার্য, তবে এর জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের অবৈধ হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।’
সব কথা শুনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়া কাশ্মীরিদের স্বার্থেই করা হয়েছে। এটি কাশ্মীরি জনগণের সুবিধার চেয়ে ক্ষতি ছিল বেশি। এর অনেক উুদাহরণও আমরা দিয়েছি।
মুফতি মোহাম্মদ সালমান মনসুরপুরী তার বক্তব্যের বিপরিতে বলেন, কাশ্মীরে মিডিয়া ও অন্যান্য বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যা জনগণের সমস্যা সৃষ্টি করছে। তাই এর সমাধান অবিলম্বে করা দরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশ্মীরে কারফিউ ছিল না, কেবল ১৪ টি থানা রাতে কারফিউ প্রয়োগ করেছিল। সূত্রটি সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার করেছে। আমরা যতটুকু কঠোরতা করেছি এর চেয়ে বেশি প্রচার হয়েছে।
এনএরসি বিষয়ে অমিত শাহ বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বের এমন কোনো দেশ নাই যেখানে এনআরসি নেই। তাই এটি আমি করি দেশের জন্য ভালো।
অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, এনআরসিসহ আরো অনেক বিষয়ে আলোচনরা করা হয়।
অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাতে যাওয়া দলে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভারত জমিয়তে আহলে হাদিস হিন্দের সভাপতি মাওলানা আসগর আলী, জমিয়তে উলামা হিন্দের রুকন মুফতী সালমান মনসুরপুরী, ইমাম মাহদী সালাফী, নিয়াজ আহমদ ফারুকী, মাওলানা শাকীল আহমদ, মাওলানা মতিনুল হক উসামা কানপুরী, মাওলানা হাফেজ পীর শিব্বির আহমদ হায়দরাবাদী, মাওলানা হাফেজ নদীম সিদ্দিকী, মাওলানা ইয়াহইয়া কারীম মেওয়াত, মুয়ীজুদ্দীন আহমদ, মুফতী আফ্ফান মনসুরপুরী ও মাওলানা হাবিব ফারুকী মুম্বাই প্রমুখ।
-এটি