আওয়ার ইসলাম: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের জন্যই এনআরসির প্রয়োজন আছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই মন্তব্য করেন।
দিলীপ বলেন, ‘জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকা (এনআরসি) নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। পশ্চিমবঙ্গের কোনো মানুষকে কেউ বলতে পারবে না যে বাইরে যাও বা বাইরে থাকবে না। যারা বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ঢুকেছে, ‘অনুপ্রবেশকারী মুসলিম’ তাদের জন্যই এনআরসি দরকার আছে।’
বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলেছেন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওপার বাংলা থেকে যারা উদ্বাস্তু হিন্দু এসেছেন তারা এই ভারতে থাকবেন। এখানে নাগরিকত্ব বিল পাস হলেই আমরা তাদেরকে নাগরিকত্ব দেবো। এ নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই।’
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা চাচ্ছেন, যে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর জন্য তিনি একসময় পার্লামেন্টে আলোচনা চেয়েছিলেন, আজকে তাদের সংরক্ষণ দেয়ার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন। এভাবে তারা লোককে বিভ্রান্ত করছেন।
বিজেপির এই সভাপতি বলেন, এই ইস্যুতে তারাই রাস্তায় নেমেছেন, বিধানসভায় এনআরসির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাস করেছেন। আমরা কোথাও আলোচনা করিনি। আমরা বলেছিলাম, বিদেশিদের চিহ্নিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশে আসামে যেরকম এনআরসি হচ্ছে, তা বাংলায় হওয়ার দরকার আছে।
দুনিয়ার সমস্ত সভ্য স্বাধীন দেশে তার দেশের নাগরিকদের সূচি থাকে। কেবল আমাদের দেশে নেই। ওই সূচি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকা) বানানোর মধ্যে কোনো দোষ নেই।
অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভয় দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলায় আমরা এনআরসি করতে দেবো না। সারা দেশেও হবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
কেউ মানবে না। বিহার ইতোমধ্যেই বলে দিয়েছে আমরা মানবো না। কোনো এনআরসি হবে না। বিজেপি ওই ইস্যুতে রাজনৈতিক প্রচার করছে। করতে দিন। এটা তাদের রাজনৈতিক হাতিয়ার। এটাকে রাজনীতি হিসেবে দেখুন। আমাদের তো এটা হাতিয়ার নয়।’
-এটি