আওয়ার ইসলাম: ভোটার তালিকা বিধিমালা সংশোধন এনে নতুন ফর্মুলায় হালনাগাদ কার্যক্রম করতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সঙ্গে দেশের ১০টি অঞ্চলের ইসি কর্মকর্তাদের সভায় এসব বিষয়ে সুপারিশ করা হয়। এদিকে, সারা দেশে চলমান ভোটার তালিকা হালনাগাদে মৃত ভোটার কর্তনের হার নিয়ে উদ্বিগ্ন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, চলমান হালনাগাদে মৃত ভোটারের নাম কর্তনে সংখ্যা অনেক কম। এ কারণে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবে ইসি। কি কারণে এ সমস্যা হচ্ছে তা ক্ষতিয়ে দেখবে ইসি। গত হালনাগাদে ১৭ লাখ মৃত ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয় ইসি। কিন্তু এবার মৃত ভোটারের সংখ্যা খুব কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে কোনো পর্যায়ে গাফিলতি হচ্ছে—তা খতিয়ে দেখবে ইসি।
পাশাপাশি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশেষ ব্যবস্থায় মৃত ভোটার কর্তনের উদ্যোগ নেয়া হতে পারে। মৃত ভোটার তালিকায় থেকে গেলে তাদের নামে লেমিনেটেড কার্ড ও স্মার্ট কার্ড প্রিন্ট হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের অতিরিক্ত টাকা নষ্ট হতে পারে বলেও জানানো হয় সভায়।
সভায় আরও জানানো হয়, বর্তমানে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি নির্ধারিত আছে। নভেম্বর হতে জানুয়ারি পর্যন্ত শীত থাকে ও বৃষ্টি কম হয়। স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ায় নির্বাচন করা সুবিধা হয়। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদে তালিকাভুক্তরা ভোট দিতে পারেন না। তাতে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হয়।
সে ক্ষেত্রে বর্তমানে যে তারিখ নির্ধারিত আছে তা পরিবর্তন করে ১৫ জানুয়ারি খসড়া তালিকা প্রকাশ, ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি দাবি, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি দাবি নিষ্পত্তি , ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি সিডি প্রস্তুত এবং ১ মার্চ ভোটার দিবসে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সূচি রেখে বিধি সংশোধন করতে মতামত দেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে কমিশন সভায় উঠানো হবে বলেও জানানো হয় সভায়।
এদিকে, বাংলাদেশে আটকেপড়া বিহারিদের আদালতের আদেশ ছাড়া কেউ ভোটার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া ঐসব এলাকা বিশেষভাবে চিহ্নিত করে মনিটরিং করা সুপারিশ করা হয়। মাঠপর্যায়ের ইসির সার্ভার ছাড়া অন্য কোনো সার্ভারের মাধ্যেমে ডাটা পাঠানো যাবে না।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, দেশে বর্তমানে ১০ কোটি ৪২ লাখের মতো ভোটার রয়েছে। এবারের হালনাগাদে ৮০ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছে ইসি। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮২ কোটি টাকা। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম এ রকম নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে এবার।
এর মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাদের নাম ২০২০ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আর যাদের বয়স এখনো ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি, তাদের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। সারা দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু গত ২৩ এপ্রিল।
-এএ