আবদুল্লাহ তামিম: নয়া সন্ত্রাস বিরোধী আইনে এককভাবে জঙ্গি ঘোষিত জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহার ও লস্কর ই তৈয়বা প্রধান হাফিজ সাঈদ।
ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির বরাতে জানা যায়, একমাস আগে ওয়াফা, ১৯৬৭ আইন সংশোধনী সংসদে পাশ করে ভারত সরকার। তারপরেই আজ বুধবার এ ঘোষণা করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত মাওলানা মাসুদ আজাহারকে জঙ্গি ঘোষণা করা হয়েছে।
২০০৮ মুম্বই হামলার সঙ্গে যুক্ত হাফিজ সইদ, পুলওয়ামা হামলা এবং ২০০১ সাংসদে হামলার মূলচক্রী মাওলানা মাসুদ আজাহার।
গতমাসে সংসদে পাশ হয় ইউএপিএ আইন, যেখানে কোনও একক ব্যক্তিকে “জঙ্গি” ঘোষণা করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।
বিরোধীদের যুক্তি, এই আইন ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে বলে মন্তব্য করে বিরোধীরা, সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সন্ত্রাসবাদের কোনও ধর্ম নেই, সন্ত্রাসবাদ মানবতার বিরোধী, এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনকে সবার সমর্থন করা উচিত।
রাজ্যসভায়, বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবি তোলে বিরোধীরা, যদি তা খারিজ হয়ে যায়।
নয়া আইনে, কোনও ব্যক্তিকে “জঙ্গি” ঘোষণা করা হলে তার ভ্রমণ নিষিদ্ধ করতে পারে সরকার, তার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করতে পারবে সরকার। সরকারের তরফে বলা হয়েছে, নয়া এই আইন রাষ্ট্রসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূরণ।
কোনও ব্যক্তিকে জঙ্গি ঘোষণা করা হলে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে আবেদন করতে পারবেন, স্বরাষ্ট্রসচিবকে সেই আবেদনের ৪৫ দিনের মধ্যে তার মীমাংসা করতে হবে।
এছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত বা বর্তমান বিচারপতি এবং অন্তত দুজন সরকারের দুজন সচিবকে নিয়ে গঠিত রিভিউ কমিটিরও দ্বারস্থ হতে পারবেন।