শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

অনুমতি ছাড়া ফেনী নদী থেকে ভারতের পানি উত্তোলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে সীমান্তের জিরো লাইনে পাম্প বসিয়ে ফেনী নদী থেকে পানি নিয়ে যাচ্ছে ভারত। আর এ কাজটি করছে বাংলাদেশের কোনো অনুমতি না নিয়েই।

পানি উত্তোলন না করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পানিসম্পদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের ত্রিপুরার সাবরুম শহরবাসীর খাবার পানি সরবরাহের জন্য ফেনী নদী থেকে ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি চেয়েছিল দেশটি।

এর প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ এক বৈঠকে মানবিক দৃষ্টিকোণে ভারতকে পানি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে পানিসম্পদ সচিব পর্যায়ে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত নাা হওয়ায় সে সিদ্ধান্ত ভারতকে আর জানায়নি বাংলাদেশ।

কিন্তু পরে বাংলাদেশের অনুমতি না নিয়েই পাম্পের মাধ্যমে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে ৩৫ থেকে ৪০ কিউসেক পানি নদী থেকে উত্তোলন করা শুরু করে ভারত।

এর পর যৌথ নদী কমিশনের কারিগরি পর্যায়ের একাধিক বৈঠকে বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে পানি উত্তোলন না করতে এবং সীমান্তের শূন্য লাইনে স্থাপনা অপসারণে ভারত কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা দেশটির প্রতিনিধি দলের কাছে জানতে চাওয়া হয়।

সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত এলেই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হবে বলে জানায় ভারতের প্রতিনিধি দল।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ পানি দিতে সম্মত হয়। কেউ খাবার পানি চাইবে, বাংলাদেশ সেটি দেবে না, বিষয়টি সে রকম নয়। তারা যে পরিমাণ পানি চেয়েছে তা ফেনী নদী প্রবাহের ২ থেকে ৩ শতাংশ। তবে বাংলাদেশের সম্মতিতে পানি উত্তোলন করলে বিষয়টি ভালো হতো।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ২০১০ সালে ভারতকে পানি দেয়ার বিষয়ে আমরা নীতিগতভাবে সম্মত হই। কেউ খাবার পানি চাইবে, আমরা সেটি দেবে না? এমন অমানবিক বাংলাদেশ নয়। তবে সে সিদ্ধান্ত ভারতকে জানানোর সুযোগ হয়নি। তিস্তা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে চুক্তি এড়িয়ে চলতে পানিসম্পদ সচিব বা মন্ত্রিপর্যায়ে নির্ধারিত বৈঠকে বসেনি ভারত।

বাংলাদেশের সম্মতিতে ভারত এ পানি উত্তোলন করলে ভালো হতো জানিয়ে তিনি বলেন, পানি উত্তোলন না করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি অনুরোধপত্র ভারতের সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশেই। কিন্তু ভারতের পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বলা হচ্ছে, এ নদীর উৎপত্তি ত্রিপুরা রাজ্যে। অনুসন্ধান ও সরেজমিনে দেখা গেছে, এর উৎপত্তি মাটিরাঙ্গার ভগবানটিলায়। নদীর ১০৮ কিলোমিটারের কোনো অংশ ভারতের নয়।

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ