আওয়ার ইসলাম: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্তৃক রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের দীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিনার মসজিদ ও মাদররাসার পার্কের (বোর্ডিং) রান্নাঘর ভাঙা নিয়ে আবারও উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি উভয়পক্ষ।
আজ মঙ্গলবার খবর ছড়িয়ে পড়ে, রান্নাঘরের জায়গা ফের দখলে নিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ডিএনসিসির বুলডোজার গেলে এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, রান্নাঘরটি দ্বিতীয় দফায় ভাঙতে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বুলডোজার নিয়ে গেলে মাদরাসা ছাত্ররা বেরিয়ে আসে। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়।
স্থানীয়রা বলছেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে ডিনএনসির ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে সমঝোতার উদ্যোগ নেয় তারা। দীর্ঘ বৈঠক শেষে উভয়পক্ষ একমত হয়, মেয়র আতিকুল ইসলাম দেশে ফিরে এলে আবার বৈঠক হবে। মেয়রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রান্নাঘরের জায়গায় যে চুলা রয়েছে সেখানে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ রান্নাবান্না করছে। পুলিশ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে তারা আপাতত রান্না চালিয়ে যাবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম এখন দেশের বাইরে আছেন। তিনি দেশে ফিরে এলে বিষয়টির চূড়ান্ত মীমাংসা করা হবে।’
জামিয়া বায়তুল আমান মিনার মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র-এর কমিটির সেক্রেটারি ওবায়দুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, মাদরাসার রান্নাঘর যেখানে যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকবে। তিনি দেশের বাইরে আছেন। কিন্তু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রান্নাঘরটি ভেঙে ফেলে।’
তিনি জানান, আজও (মঙ্গলবার) পুলিশ ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। মেয়র ফিরে আসলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, কেউ যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করেন সেজন্য বলে দেওয়া হয়েছে। মেয়র দেশে ফেরা পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে।
আরএম/