আওয়ার ইসলাম: মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করায় অনেকেই আমাকে নিয়ে কটুক্তি করেছেন। ফেসবুকে বাজেভাবে লেখালেখি করেছেন। এতে আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমার মনে হয়েছে এটা মানহানিকর।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাহেরীর বিরুদ্ধে ইসলামকে ব্যঙ্গ করার অভিযােগে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ স ম জগলুল হােসেন।
মামলা খারিজের পর গণমাধ্যকে এসব কথা বলেন তাহেরী। তিনি বলেন, ওয়াজের ভেতরে যে শব্দ বা বাক্যগুলাে আমি ব্যবহার করি সেগুলাে ইসলামকে নিয়ে ব্যঙ্গের পর্যায়ে পড়ে কি না, তা নিয়ে আমি আগেই প্রশ্ন রেখেছিলাম। মামলাকারী ইব্রাহিম খলিল হয়তাে ইসলাম নিয়ে কিছু জানেনই না। সেজন্য সে মামলা করেছে। অথবা এই মামলা করার পেছনে তার কোনাে স্বার্থ ছিল।
মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী বলেন, উনি (ইব্রাহিম খলিল) মামলা করে আমাকে অপদস্ত করেছেন। এটা উনার ঠিক হয়নি। উনার আরাে চেঞ্জ হওয়া উচিত। এ রকম স্বাভাবিক একটা বিষয়কে নিয়ে তিনি ইসলামকে ব্যঙ্গ করার পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। উনার হয়তাে জ্ঞানেরও অভাব আছে। আর তাই আদালত বুঝে মামলাটি খারিজ করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক অবশ্যই এসব নিয়ে জেনে বুঝে রায় দিয়েছেন।
তাহেরী আরাে বলেন, আমি যখন ওয়াজে কথা বলি তখন পরিস্থিতির প্রয়ােজনে বলি। এগুলাে কখনাে খারাপ ভেবে বলি নাই। আমার কথাগুলাে যদি কারাে খারাপ লেগে থাকে তাহলে আমি আর এসব বলব না। কিন্তু আমাকে অন্যভাবে জানানাে যেত। মানুষের মুখ দিয়ে তাে ভুল কথা বের হতেই পারে।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় আদালতে দাখিলকৃত পেনড্রাইভ পর্যালােচনা করে বিচারক বলেন, ভিডিওগুলাে ধর্ম-বিষয়ক। এ ছাড়া ভিডিওতে সামাজিক ও ধর্ম-বিষয়ক বক্তব্য রয়েছে। একেক জনের মত প্রকাশের ধরন একেক রকম। এখানে ধর্মীয় অনুভূতির কোনাে প্রমাণ মেলেনি। বক্তব্যে আইন-বহির্ভূত কোনাে কিছু পাওয়া যায়নি, তাই মামলাটি সরাসরি খারিজের আদেশ দেয়া হলাে।
এর আগে গত রােববার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ স ম জগলুল হােসেনের আদালতে আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল বাদী হয়ে মামলা করেন। ওই দিন বিচারক বাদীর জবানবন্দি শুনে আদেশ পরে দেবেন বলে জানান। পরে গতকাল সােমবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ স ম জগলুল হােসেন আদেশের দিন নির্ধারণ করেন।
-এএ