আওয়ার ইসলাম: মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বিতর্কিত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে দেশটির পুলিশ। পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল চেম্বারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছে তারা।
সোমবার সংবাদমাধ্যম মালয়েশিয়ান ইনসাইট এর প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ ইতোমধ্যে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে পরিচালিত তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছে। বুকিত আমান অপরাধ তদন্ত দফতরের পরিচালক হুজির মোহাম্মদ বলেন, তারা পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে জাকির নায়েকের তদন্তের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
হুজির বলেন, ভারতীয় ও মালয়েশীয়রা প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করছে না জাকির নায়েকের এমন বক্তব্যের বিরুদ্ধে ৫০৪ ধারায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ। এ বিষয়ে বেশ কয়েকজনের সাক্ষাৎকারও নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মালয়েশীয় শহর মেলাকায় একটি জামায়াতে অংশ নেওয়ার অনুমতি মিলেছে জাকির নায়েকের। তবে তার দাবি সরকার শুধু তাকে বক্তব্য দিতে নিষেধ করেছে। জামায়াতে কিংবা কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে মানা করেনি।
মেলাকার কাউন্সিলর ও মসজিদ কমিটির প্রধান মোহাম্মদ রফিক নাইজামোহিদিন বলেছেন ,৭ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানটি তিনি মসজিদ কমিটির প্রধান হিসেবে আয়োজন করছেন। কোনও সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে নন। তিনি বলেন, ‘মেলাকা সরকার ও পুলিশ শুধুমাত্র জাকির নায়েকের বক্তব্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে নয়।’ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য মেলাকার মুখ্যমন্ত্রী ইদ্রিস হারোনেরও সমালোচনা করেন তিনি।
[caption id="" align="alignnone" width="1000"] মেলাকায় অনুষ্ঠিতব্য প্রোগ্রামের পোস্টার[/caption]
মেলাকা কমিউনিকেশন্স, মাল্টিমিডিয়া, ইয়ুথ অ্যান্ড স্পোর্টস কমিটির চেয়ারম্যান কার্ক চি রফিককে আহ্বান জানান যেন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ না জানান। তিনি বলেন, উনি হয়তো কোনও বক্তব্য দিবেন না। কিন্তু তিনি বিতর্কিত। সব সরকারি কর্মকর্তারই উচিত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নেওয়া।
প্রসঙ্গত,সম্প্রতি জাকির মন্তব্য করেছেন, ভারতের সংখ্যালঘু মুসলমানদের চেয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা সংখ্যালঘু হিন্দুরা শতগুণ বেশি অধিকার ভোগ করছে। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী হিন্দুরা মাহাথিরের নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সমর্থক। এই মন্তব্যের জেরে জাকির নায়েককে মালয়েশিয়া থেকে বের করে দেওয়ার প্রসঙ্গটি আলোচনায় আসে। এ ঘটনায় পুলিশি তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে দুইবার পুলিশের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে।
উল্লেখ্য, ভারতের আদালতে অর্থপাচার ও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে জিহাদি কার্যক্রম উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ রয়েছে জাকিরের বিরুদ্ধে। দিল্লির পক্ষ থেকে তাকে ফেরত পাঠানোর আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হলে ২০১৮ সালে মাহাথির এ ব্যাপারে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।
সূত্র: মালয়েশিয়ান ইনসাইট,