আওয়ার ইসলাম: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে সাংগঠনিক সভা করতে এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি- বাংলাদেশি হিন্দুরা স্বাগত, অনুপ্রবেশকারী মুসলমানদের ঠাঁই নেই।
তিনি আরও জানান, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় এলে জারি হবে এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জিকরণ। বর্তমান তৃণমূল সরকার এর প্রবল বিরোধী। বিরোধী বাম ও কংগ্রেসও বিরোধিতা করেছে। কিন্তু এনআরসি জারি করতে বিজেপি অটল ভূমিকা নেবে।
শনিবার বর্ধমানের লায়ন্স ক্লাবে দলীয় সংগঠনের নির্বাচন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে অভ্যন্তরীণ বৈঠকে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সেই বৈঠকে ছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ও জেলা বিজেপি সভাপতি সন্দীপ নন্দী।
বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে দিলীপবাবুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সামনেই বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক ধ্বনি এবং কালো পতাকা দেখান হয়।
বর্ধমান শহর তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপবাবু যেখানেই যাবেন সেখানেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে। তৃণমূল সমর্থকরা যখন দিলীপবাবুকে ঘেরাও করেছেন, তখন উল্টো দিকে অবস্থান নেয় বিজেপি। কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।
এমন সময় দিলীপবাবুর গাড়ি আটকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। দু পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাংগঠনিক সভা সেরে দিলীপবাবু চলে যেতেই বিজেপি কর্মীরা ঘটনার প্রতিবাদে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পার্কাস রোড মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। পরে পুলিশ তাদের অবরোধ তুলে দেয়।
দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ওরা ওদের কাজ করছে। আমরা আমাদের কাজ করছি। বিজেপির কাছে সবরকমের ভাষা আছে। তাঁরা চাইলে সঙ্গে সঙ্গেই ওদের কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু তাঁরা তা করেননি।
তিনি আরও বলেন, বাজারের মধ্যে হাতি গেলে কুকুর চিৎকার করে। ওদের কুকুরের মতো করেই মারা হবে।
ভারতের আসামে গতকাল নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত তালিকায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম বাদ পড়েছেন।
আরএম/