আওয়ার ইসলাম: চাঁদপুরের মতলবে একসঙ্গে তিন শিশুর রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত করতে আজ শনিবার ভোরে ঢাকা থেকে সিআইডির পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণ এবং আলামত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া থানা ও জেলা পুলিশ এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, (পিবিআই) গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কয়েক দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসী ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছে।
অন্যদিকে, মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বপন কুমার আইচ (ওসি) জানান, সকালে তিন শিশুর লাশের ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। তিনি নিজেই বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার বিকেলে মতলব পৌরসভার পূর্ব কলাদি জামে মসজিদের একটি কক্ষ থেকে এই তিন শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- ওই মসজিদের ইমাম জামাল উদ্দিনের পাঁচ বছরের শিশু আব্দুল্লাহ আল নোমান, মতলবের উত্তর নলুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ১৫ বছরের ছেলে রিফাত হোসেন এবং একই উপজেলার নাটশাল গ্রামের মৃত কামাল পাটোয়ারীর ১২ বছরের ছেলে মো ইব্রাহিম।
এদিকে ঘটনার একদিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনো একসঙ্গে তিন শিশুর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খুঁজে পায়নি। তবে স্থানীয় এলাকাবাসী বলছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মিলাদের তবারুক খেয়ে ওই তিন শিশু ইমামের কক্ষে যায়। এসময় তারা সেখানে থাকা আইপিএস-এর ব্যাটারির পানি ভুল করে খেয়ে ফেলে। ফলে তার বিষক্রিয়া শিশুদের মৃত্যু হয়েছে। অাবার অনেকে বলছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এই বিষয় শনিবার চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেছেন, শিশুদের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে পুলিশের একাধিক দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে, সিআইডির অপরাধ অনুসন্ধান দল ও রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দল। একই সঙ্গে পিবিআই এবং ডিবি পুলিশও পৃথকভাবে কাজ শুরু করেছে। পুলিশ সুপার আশা করছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবে পুলিশ।
আরএম/