আওয়ার ইসলাম: প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় আগামী ২ সেপ্টেম্বর 'বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন' কর্তৃক ঘোষিত ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
আজ শনিবার বিকেল ৪ টায় বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে কাশ্মীরে গণহত্যা ও নির্যাতন বন্ধ ও তাদের স্বাধীনতার দাবীতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেছেন, মোদি সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করার মাধ্যমে শুধু ভারত নয়, গোটা উপমহাদেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ভারতীয় সংবিধান পরিবর্তন করে কাশ্মীরীদের অধিকার খর্ব করেছে।
তিনি আরও বলেন, কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতন ও নৃশংস গণহত্যা চলছে। কাশ্মীরকে দখল এবং মুসলিম শূন্য করে হিন্দুত্ববাদী রামরাজ্য কায়েমের ষড়যন্ত্র চলছে। যা কোন শান্তিকামী মানুষ মেনে নিতে পারে না। কাশ্মীরীদের রক্ষায় বিশ্ববাসিকে জোড়ালো ভুমিকা রেখে কাশ্মীরীদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় তিনি ভারতের কাশ্মীর দখল এবং প্রতিবেশী দেশসমূহকে গ্রাস করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রুখে দাঁড়াতে আহ্বান জানান।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, আলহাজ্ব আতিকুর রহমান নান্নু মুন্সি, মাওলানা ফিরোজ আশরাফী, হাজী জালাল উদ্দিন বকুল।
মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মুফতি মোর্শারফ হেসেন, মাওলানা আখতারুজ্জামান সাদেকী, মাওলানা জুনায়েদ কাটখালী, মুফতি আলী হায়দার, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী,মুফতি ইলিয়াস মাদারীপুরী, মুফতি আ ফ ম আকরাম হুসাইন ও মুফতি আব্দুর রহীম কাসেমী প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে নাইটিঙ্গেল গিয়ে পুলিশী বাধার মুখে শেষ হয়।
আরএম/