আওয়ার ইসলাম: ভারতের আসমে রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে আসা প্রচুর মানুষ, বিংশ শতাব্দীর অনেক আগেই তারা এদেশে আসেন, ১৯৫১ এ প্রথম NRC তৈরি হয়
ছয় বছরের প্রস্ততির পর, শনিবার প্রকাশিত হল জাতীয় নাগরিক পঞ্জী বা NRC। তিন কোটি বেশী মানুষ স্থান পেয়েছেন এই নাগরিকপঞ্জীতে, বাদ পড়েছেন ১৯ লক্ষ মানুষ।তাঁদের নাগরিকত্ত্বের প্রমাণ দিতে হবে। সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তালিকায় যাঁদের নাম নেই তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে না, তাঁরা ফরেনার্স ট্রাইবুনাল এবং উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।
১। এনআরসি এর রাজ্য কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলা জানান, ৩,১১,২১,০০৪ জন চূড়ান্ত তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার মতো বলে গণ্য হয়েছেন। সংবাদসংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “যাঁরা এই ফলাফলে সন্তুষ্ট নন, তাঁরা ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন”।
২। ১৯, ০৬,৬৫৭ জন এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের দাবি দাওয়া পেশ করেননি। যে সমস্ত ব্যক্তি এআরসি থেকে বাদ পড়েছেন, তাঁরা প্রত্যকেই ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সময়সীমা ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।
৩। মোট ৩,৩০,২৭,৬৬১ জন, সংশোধিত এনআরসি তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছিলেন। তালিকায় অন্তভুক্তি এবং বাদ পড়া সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে NRC এর www.nrcassam.nic.in. ওয়েবসাইটে।
৪। ২০১৮ এর জুলাইয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে তালিকায় ছিলেন ২.৯ জন। অসমে রয়েছেন বাংলাদেশ থেকে আসা প্রচুর মানুষ, বিংশ শতাব্দীর অনেক আগেই তাঁরা এদেশে আসেন, ১৯৫১ এ প্রথম NRC তৈরি হয়।
৫। খসড়া তালিকায় বাদ পড়েন ৪১ লক্ষ মানুষ। ৩৬ লক্ষ মানুষ তাঁদের নাম অন্তভুর্ক্তির আবেদন করেন। সরকারী তথ্য অনুযায়ী, ৩.২৯ কোটি আবেদনকারীর মধ্যে ৮৭.৮৫ শতাংশ NRC তে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, ৪০ লক্ষ বা ১২.১৫ শতাংশ রয়েছে বাদের তালিকায়।
-এটি