আওয়ার ইসলাম: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমান বলেছেন, এই শোকের মাসে শপথ করে বলছি আর একদিন আছে শোকের মাস। ৩১ আগস্ট শেষ। এরপর হাতে কালো পতাকা থাকবে না। যদি কেউ গেম খেলতে চেষ্টা করে, কেউ যদি অন্যায়ভাবে, বিনা কারণে আমার দলের নেতাকর্মীদের গায়ে ফুলের আঁচড় দেয়ার চেষ্টা করে নারায়ণগঞ্জ কিন্তু এবার দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। এই শপথ আজ নেতকর্মীদের নিয়ে করলাম।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীর কদমতলী পুল এলাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকর্যালির পূর্বে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, ধৈর্য্য ধরা তো অবশ্যই ভালো। কেউ যদি মনে করে এই সাজানো সংসারে কোন ধরণের ঘটনা ঘটাবেন। শান্ত নারায়ণগঞ্জ দেখেছেন, অশান্ত নারায়ণগঞ্জ দেখেন নাই।
শামীম ওসমান আরো বলেন, যারা খেলছেন আমাদের ভেতরে এবং বাইরে কেউ টার্গেট করেন মতিরে, কেউ টার্গেট করেন হাসানকে, কেউ টার্গেট করেন আলারে, কেউ টার্গেট করেন ইয়াসিন ভাইরে একেকজন একেকজনকে টার্গেট করেন, করাচ্ছেন। কেন? আওয়ামী লীগের শক্তি কমাইয়া দেবেন?
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা আওয়ামী লীগের ভালো চায় নাই তারাই এখন আওয়ামী লীগের জন্য বড় কথা বলার চেষ্টা করছে। ত্যাগীরা পেছনে চলে যাচ্ছে। আমি দেখছি যাদের রাজনীতি করার কথা না, যাদের কাজ জনগণের জন্য, জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যারা লালিত পালিত তারাও এখন অনেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে চান। লোকাল পলিটিক্সে ইনভল্ব হতে চান। সিদ্ধিরগঞ্জকে টার্গেট করা হয়েছে। অনেকে আবার ষড়যন্ত্র করে সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামী লীগকে খতম করার জন্য আওয়ামী লীগের সমর্থক, ব্যবসায়ীদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে তাও আবার মার্ডার কেস।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শামীম ওসমান বলেন, আপনারা সজাগ থাকেন, ঐক্যবদ্ধ থাকেন। বাংলাদেশে মনে হয় এখন সবাই আওয়ামী লীগ করে। মনে হয় আওয়ামী লীগের বাইরে কেউই নাই। আর যারা অরিজিনাল আওয়ামী লীগ করে যাদের সিএস, আরএস পর্চা আওয়ামী লীগার এরাই মনে হয় এখন আওয়ামী লীগ না অন্য কিছু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র দেশেও চলছে, নারায়ণগঞ্জে বিশেষভাবে চলছে। অসাধু লোক সাধু সাজার চেষ্টা করছে। অমুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা সাজার চেষ্টা করে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রাজনীতি করার চেষ্টা করে। জামায়াতের সঙ্গে আতাঁতাকারীরা আওয়ামী লীগের সামনের সারির নেতা হওয়ার চেষ্টা করছে। দুর্নীতিবাজরা নীতিবাজদের কথা শোনায়। আমার কাছে সবকিছুর প্রমাণ আছে।
শামীম ওসমান বলেন, আমার নেত্রী, আমার মা শেখ হাসিনা কয়দিন আগে আমাকে একটা প্রশ্ন করেছিলো তোর এতো ধৈর্য্য হইলো কিভাবে? আমি উত্তর দিয়েছিলাম আমি নিজেও অবাক হয়ে যাই আমার ধৈর্য্য দেখে। ঊনিশ বছর ধরে তাহাজ্জুত নামাজ কাজা করি না। আল্লাহ আমার ধৈর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া, নাসিক প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতি, নাসিক কাউন্সিলর কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, আলী হোসেন আলা, ইফতেখার আলম খোকনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
আরএম/