আওয়ার ইসলাম: গত এক মাসে অবরুদ্ধ জম্মু-কাশ্মীরে একশ’ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন। তার মধ্যে পেলেট গান বা ছররা গুলিতে আহত হয়েছেন ৩৬ জন। ছররার গুলি লেগে অন্ধ হয়েছেন চারজন।
গত বুধবার সরকারি পরিসংখ্যানে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিসংখ্যান মতে, কাশ্মীরিদের চেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাই বেশি আহত হয়েছেন। শ্রীনগরের কয়েকটি হাসপাতালের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, উপত্যকার অন্যান্য জেলার আহতদের তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি।
জম্মু-কাশ্মীর কর্তৃপক্ষের গভর্নর সত্যপাল মালিক জানান, কাশ্মীরজুড়ে এ পর্যন্ত পাঁচ শতাধিক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ প্রতিবাদ ছত্রভঙ্গ করতে সেনা-পুলিশ ছররা গুলি ব্যবহার করেছে বলে স্বীকার করেছেন গভর্নর। খবর এএফপির।
পুরো জম্মু-কাশ্মীর কার্যত খাঁচাবন্দি। উপত্যকাজুড়ে প্রায় ১০ লাখ সেনা-পুলিশ মোতায়েন। স্থানীয় গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট বন্ধ। মানুষের চলাচল বন্ধ, নিষিদ্ধ সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ। ফলে সেখানে কি ঘটছে তার খুব কমই জানা যাচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, কঠোর নিয়ন্ত্রণের মধ্যেও বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সমাবেশ ঠেকাতেই ছররা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে নিরাপত্তা বাহিনী।
নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কেউ মারা যায়নি বলে দাবি করেছেন কাশ্মীরের গভর্নর। তিনি বলেছেন, আমাদের একটা বড় অর্জন বেসামরিক কেউ মারা যায়নি। অনেকেই অভিযোগ করছেন, আমরা হতাহতের সংখ্যা গোপন করছি। কিন্তু এটা সত্য নয়। আমরা সব তথ্য গণমাধ্যমকে জানাচ্ছি।
তবে এএফপি বলছে, গত চার সপ্তাহে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি ও টিয়ার গ্যাসে অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গুলি ছুড়ে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়ার মতো লোমহর্ষক ঘটনাও ঘটেছে। হত্যা ধামাচাপা দিতেই দাঁড়িয়ে থেকে তাড়াতাড়ি লাশ কবর দিয়েছে সেনা-পুলিশ।
-এএ