আওয়ার ইসলাম: কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করার আগে থেকেই কাশ্মীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয় এবং ঐ অঞ্চলকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। গত কয়েকদিনে কাশ্মীর থেকে কিছু বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়।
কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ঢিল ছুঁড়ে এবং মিছিল করে মানুষজন বিক্ষোভ করেছে। অনুচ্ছেদ ৩৭০ এর বৈধতা এবং এর বিলোপের সিদ্ধান্তের বাস্তবায়নের বিষয়ে গত কয়েকদিনে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুমুল তর্ক-বিতর্ক হলেও এ বিষয়ে যাদের মতামত সবচেয়ে গুরুত্ব বহন করার কথা ছিল কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ তাদের বক্তব্যই উঠে আসেনি।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরে তরুণদের ওপর নির্মম নির্যাতনের চিত্র উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে। যাতে বলা হয়েছে, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর অবরুদ্ধ অবস্থায় কাশ্মীরিদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী।
বিনা অপরাধে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয় তরুণদের। নাম-পরিচয় গোপন রেখে বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকারও প্রকাশ করেছে বিবিসি। তবে নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
নয়াদিল্লীর অভিযোগ, ইন্ধন দিয়ে জম্মু-কাশ্মিরে সহিংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে পাকিস্তান। অস্থিরতার শঙ্কায় তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ রাখা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরকে। নজিরবিহীন বিধিনিষেধের কারণে বর্হিবিশ্বের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন উপত্যকার। ৫ আগস্ট, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে ৪ হাজার রাজনীতিক, ব্যবসায়ী এবং মানবাধিকার কর্মীকে।
-এটি