আওযার ইসলাম: এ বছর হজে গিয়ে ধূমপানে আসক্ত ৩১৩ হাজি সিগারেটসহ অন্যান্য মাদকের নেশা ছেড়ে দিয়েছেন। এর মাধ্যমে ধূমপান নামক মৃত্যু থেকে ফিরে নতুন জীবন পেলেন হাজিরা।
সৌদি আরবের তামাক, ধূমপান ও মাদক প্রতিরোধ সংস্থা (কাফা) (The Tobacco and Narcotics Combat Charity Society-Kafa) প্রত্যেক বছর পবিত্র হজ পালনের সময় হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের স্থানসমূহে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে ব্যাপক প্রচারনা কার্যক্রম গ্রহণ করে।
ধূমপানে অভ্যস্ত হাজিদের চিকিৎসা সেবাও প্রদান করে থাকেন। গত ৪ বছর ধরে হজ মৌসুমে পবিত্র নগরী মক্কার মসজিদে হারামে ও মিনায় ধূমপানমুক্ত কর্মসূচি পরিচালিত হয়ে আসছে। এ বছর ১ লাখ ১৩ হাজার হাজিকে এ কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ধূমপানের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করাই এ কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আবু গাজালাহ দাতব্য সংস্থা এবং কাফা সোসাইটি এ কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
মক্কা ও মিনায় ভ্রাম্যমান ক্যাম্পিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে ধূমপানের ঝুঁকি ও বিপদ সম্পর্কে সচেতন হতে আহ্বান করা হয়। আর যারা ধূমপানের মারাত্মক নেশায় আক্রান্ত তাদের জন্য রাখা হয়েছে চিকিৎসার ব্যবস্থা।
এ বছর ১ লাখ ১৩ হাজিকে চিকিৎসা দেয়ার পাশাপাশি তাদের ধূমপানমুক্ত করতে সিগারেটের বিকল্প হিসেবে দেয়া হয়েছে চিকিৎসা কার্ড, সচেতনতামূলক লিফলেট এবং মেসওয়াক।
হজের পবিত্র মৌসুমে সারাবিশ্ব থেকে আগত ধূমপানে অভ্যস্ত হজ পালনকারীদের মাদকের নেশা থেকে সুস্থ ও সচেতন করাই হলো এদের উদ্দেশ্য। যাতে তারা এ পবিত্র মৌসুমের এক মাসেরও অধিক সময়ের সফরে তা ছেড়ে দিতে পারে।
কাফা প্রতি বছরই হজের সময় পবিত্র মক্কা নগরীসহ হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনের স্থানগুলোতে ধূমপান বিরোধী প্রচারণা চালায়; যা এ বছরও অব্যাহত ছিল। হজের সময় কাফা’র এ উদ্যোগ ধূমপান, তামাক ও মাদক নির্মূলে অসামান্য সাওয়াব ও প্রশংসার দাবিদার। আল্লাহ তাআলা এ সংস্থার মহতি উদ্যোগকে কবুল করুন। আমিন।
আরএম/