আওয়ার ইসলাম: সিডিউল বিপর্যয়ের কবলে বাংলাদেশ বিমানের হজ ফ্লাইট। জেদ্দা বিমান বন্দরের হজ টার্মিনালে বাংলাদেশগামী হাজিরা চরম দুর্ভোগে।
মরুভূমির তীব্র গরম আর খাবার এবং পানির অভাব তো আছেই। দ্রুত সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি এজেন্সি মালিকদের।
বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, ঢাকায় একটি উড়োজাহাজ বিকল হওয়ায় সমস্যার তৈরি হয়েছে। সমস্যা সমাধান হতে সময় লাগবে ৪/৫দিন।
হজ ব্যবস্থাপনার শতভাগ সফলতা মাটি হতে বসেছে বাংলাদেশ বিমানের কারণে। একের পর এক সিডিউল বিপর্যয়ে হাজিদের দুর্ভোগ চরমে।
মক্কা থেকে নির্ধারিত সময়ে হোটেল ছেড়ে বিমানবন্দরে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় অতিষ্ঠ তারা। আগে থেকে না জানায় ক্ষোভ বাড়ছে হাজিদের।
গত ৩ দিন থেকে সহস্রাধিক হাজিকে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বসে থাকতে দেখা যায়। বিশেষ করে বৃদ্ধ হাজিরা খাবার-পানি-বাসস্থান সংকটে কষ্টে সময় পার করছেন।
জায়গাটিতে কোন বৈদ্যুতিক পাখা বা এসি না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বলে জানান হাজিরা।ঢাকায় একটি উড়োজাহাজ বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে, তবে হাজিদের যাতে কষ্ট না করতে হয় সেজন্য বিমানের পক্ষ থেকে হোটেল এবং খাবার দেয়ার কথা জানিয়ে সমস্যা সমাধান হতে আরও ৪/৫দিন সময় লেগে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বিমানের জেদ্দা রিজিওনাল ম্যানেজার আলী ওসমান নুর।
তিনি বলেন, আমরা বিকল উড়োজাহাজ ঠিক করার অপেক্ষায় বসে নেই। সৌদিয়া, কুয়েতসহ অন্যান্য এয়ারলাইন্সে হাজিদের পাঠানো হচ্ছে। সমস্যা বেশি হলে অন্য বিমান চার্টার করে হাজিদের দেশে পাঠানো হবে।
সুন্দরভাবে হজ শেষ হওয়ার পর বিমানের ফ্লাইটের কারণে হাজিদের দুর্ভোগ মেনে নিতে পারছেন না বেসরকারি হজ এজেন্সির মালিকরা।
তাদের দাবি, অন্য কোন বিকল্প উপায়ে হাজিদের দ্রুত দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা পাশাপাশি সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়কে সিডিউল সমস্যার কথা জানিয়ে হাজিদের মক্কা-মদীনার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা।
প্রসঙ্গত, সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত সৌদিয়া এবং বিমানের ১২০টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৬৯৯জন হাজী। হজে এসে মারা গেছেন ১০৭ জন বাংলাদেশি।
-এটি