আওয়ার ইসলাম: সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়ার পর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে গত ২২ দিনে কমপক্ষে ৪১০০ জনকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে ৬০৮ জনের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জন নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতার প্রথমসারির সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকা।
পত্রিকাটির বরাতে জানা যায়, আটকের পর প্রায় সকলকে কাশ্মিরের বাইরে সরিয়ে উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কাশ্মিরে এখনো গ্রেপ্তার অভিযান চলছে জানিয়ে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, প্রশাসনের দৃষ্টিতে ‘বিপজ্জনক’ ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
ধারাবাহিক এ অভিযানের ফলে গ্রেপ্তার বা আটকের সংখ্যা আরও বাড়বে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রাজনৈতিক নেতা, হুরিয়ত নেতা, ব্যবসায়ী নেতা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক তরুণ রয়েছে বলে জানান তিনি।
সরকারিভাবে আটকের সংখ্যা না জানানোর কারণে প্রশাসনিক সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার আরও জানিয়েছে, কাশ্মিরের থানাগুলোর লক-আপ ভরে জায়গা না হওয়ায় অনেককে নিরাপত্তা শিবিরে নিয়ে রাখা হয়েছে।
তাদের সংখ্যা কত, তা ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানাতে পারেননি। তবে তিনি বলেন, আটকের প্রকৃত সংখ্যা চার হাজারের অনেক বেশি হতে হবে, অন্যথায় থানার লক-আপেই স্থান সংকুলান হতো।
এছাড়া বন্দীদের সঙ্গে আত্মীয়-স্বজনকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না বলেও জানা গেছে। এমনকি বেশিরভাগ পরিবার জানে না, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের স্বজনদের তুলে নিয়ে কোথায় রেখেছে। তাই গ্রেপ্তার বা আটকের শিকার হওয়া লোকজনের পরিবারে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ভারতীয় প্রশাসনের মুখপাত্র প্রিন্সিপাল সচিব রোহিত কনসালের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি গ্রেপ্তার অভিযানের কথা অস্বীকার করেন। তার ভাষ্য, ‘আটক হচ্ছে, ছাড়াও পাচ্ছে। এ প্রক্রিয়া থানাতেই শেষ হচ্ছে।’
-এটি