আওয়ার ইসলাম: এপ্রিলে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর শ্রীলঙ্কায় মুসলিম সম্প্রদায় যেমন সহিংস টার্গেটে ছিল, এখনও তেমনই আছে। এভাবে মুসলিমদের টার্গেট করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সেখানকার মুসলিমদের ধর্মীয় নেতারা। তবে তারা মুসলিম সম্প্রদায়কে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
ওদিকে আত্মঘাতী ওই হামলার পরে জরুরি অবস্থা শেষ হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা এই জরুরি অবস্থার অধীনে মুসলিম নারীদের বোরকা পরা ও মুখ ঢেকে রাখা নেকাব পরা নিষিদ্ধ করেছিলেন।
জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেলেও মুসলিম নারীদের এখনই বোরকা বা নেকাব না পরার আহ্বান জানিয়েছেন ওইসব ধর্মীয় নেতা। শ্রীলঙ্কা থেকে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
এতে বলা হয়, সরকার যতক্ষণ পর্যন্ত পরিষ্কার নির্দেশনা না দিচ্ছে বোরকা বা নেকাব পরার বিষয়ে, ততক্ষণ পর্যন্ত যেন মুসলিম নারীরা তা না পরেন। মঙ্গলবার এ আহ্বান জানিয়েছেন ধর্মীয় নেতারা।
এ বছর এপ্রিলে ইস্টার সানডেতে শ্রীলঙ্কার তিনটি চার্চ ও তিনটি হোটেলে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলা হয়। এতে কমপক্ষে ২৬০ জন নিহত হন। এরপর মুসলিম সম্প্রদায় হামলার শিকারে পরিণত হয়। এখনও এ সম্প্রদায় সেই আগের অবস্থায় আছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আল সাইলন জমিয়তুল উলেমা’র মুখপাত্র ফাজিল ফারুক।
শ্রীলঙ্কায় ইসলাম ধর্মীয় নেতাদের সবচেয়ে বড় গ্রুপ আল সাইলন জমিয়তুল উলেমা। ফাজিল ফারুকই মুসলিম নারীদের সহসা বোরকা ও নেকাব না পরতে অনুরোধ করেছেন।
তিনি বলেন, মুসলিম নারীরা অতীতে এমন চর্চা করেছেন। আমরা তাদেরকে একই পন্থা অনুসরণ করতে আহ্বান জানাচ্ছি আবারও।
তিনি আরো বলেন, মুসলিম নারীরা বোরকা পরে, মুখ ঢেকে বাইরে যাওয়ার রীতি চর্চা করে এসেছেন। এখন তারা তাদের মুখ না ঢেকে বাইরে যেতে চান না।
আরএম/