আওয়ার ইসলাম: মিরপুরের রূপনগর বস্তিতে স্বার্থান্বেষী মহল দুরভিসন্ধিমূলকভাবে আগুন ধরিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
তিনি বলেন, সরকারি জমিতে ঘর বানিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস সংযোগ দিয়ে যারা প্রতি মাসে কোটি কোটি টাকা মাসোহারা নিয়েছেন, তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে নগর সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে রূপনগর ঝিলপাড়া বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। সব সম্বল হারানো এই অসহায় মানুষগুলোর মাথা গোজাঁর ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব। অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীদের ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনে সরকারকে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি এই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু রাজধানীতে প্রায় ৩০ লাখ লোক বস্তিতে বাস করে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ব্যাপক অবদান থাকা সত্বেও তারা নূন্যতম মানবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। ক্ষমতাসীনরা সব সময় তাদেরকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করে আসছে। শুধু ঝিলপাড়া নয়, সকল বস্তিবাসীকেই পুনর্বাসন করতে হবে।
বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জাতি রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে চরমোনাই পীর বলেন, দুই বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারা সরকারের চরম কূটনৈতিক ব্যর্থতা। প্রত্যাবাসনের পরিবেশ তৈরীতে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করতে সরকারকে আরও কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
কাশ্মীরে ভারতীয় আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কাশ্মীর আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে। হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের নীলনকশার অংশ হিসেবেই কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে। তবে নির্যাতনের মাধ্যমে কাশ্মীরীদের ঈমান ও স্বাধীনতার চেতনাকে ছিনিয়ে নেয়া যাবে না।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্যাতিত কাশ্মীরীদের পাশে আছে। তিনি অবরুদ্ধ কাশ্মীরীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্ব ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, নগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, নগর উত্তর সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হুসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা আরিফুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জি. মুরাদ হুসাইন সহ নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ।
-এএ