আওয়ার ইসলাম: সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, সরকার সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ ও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, এমনটা আমরা দেখছি না।
সীমান্ত হত্যার ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের তরফ থেকেও পতাকা বৈঠক করে বিএসএফের কাছ থেকে লাশ গ্রহণ ছাড়া ভরসা রাখার মতো কোন তৎপরতা চোখে পড়ে না। বিএসএফ'র সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধে রাষ্ট্রের এমন ভূমিকা গভীর বেদনাদায়ক ও লজ্জার।
সোমবার এক বিবৃতিতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এ সব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১১ জুলাই সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্য মতে আওয়ামী লীগ শাসনামলে গত ১০ বছরে বিএসএফ সীমান্তে ২৯৪ জন বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, বিশ্বের কোথাও এমনটা আমরা দেখি না, কেবল অবৈধ সীমান্ত পারাপার বা চোরাচালানের জন্য নিরীহ মানুষ হত্যার মতো নিষ্ঠুরতা ঘটে। ভারত-চীন বা ভারত-পাকিস্তান বর্ডারেও সীমান্তে এমন হত্যাকাণ্ডের খবর দেখা যায় না।
বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীরা যে হারে পাখী শিকারের মতো নির্বিঘ্নে বাংলাদেশিদের হত্যা করে চলেছে, বিশ্বে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক থাকাটাই আমাদের কাম্য। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশীদেরকে হত্যা করে যাবে, আর বাংলাদেশ সুসম্পর্ক রক্ষার জন্য চুপচাপ সয়ে যাবে; আমরা এমনটা চাই না।
আমরা চাই সীমান্তে বাংলাদেশের স্বার্থ ও নাগরিকদের জানমালের হেফাজতে বর্ডার গার্ডের জাওয়ানরা বীরের মতো ভূমিকা রাখুক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সীমান্তে যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
-এএ