আওয়ার ইসলাম: কাশ্মীর ইস্যুতে একাধিকবার মধ্যস্থতা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত মঙ্গলবারও সাংবাদিকদের কাছে এমন ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ভৌগোলিকভাবে কাশ্মীরের অবস্থান খুব জটিল। সেখানে হিন্দু, মুসলিম সবাই বসবাস করে। আমি বলব না, যে তারা এখন একসঙ্গে খুব ভালো আছে।’
তবে সোমবার ফ্রান্সে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্পের সুর পাল্টে গেছে।
ভারতীয় মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, সোমবার জি সেভেন সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও নরেন্দ্র মোদি বৈঠকে বসেন।
এ সময় মোদি বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যাবতীয় সমস্যা কেবলমাত্র দ্বিপাক্ষিক। তৃতীয় কোনো পক্ষের সাহায্য দরকার নেই ভারতের। আমরা বিশ্বাস করি, দু’দেশের সমস্যাগুলি আমরা নিজেরাই আলোচনা করতে পারি এবং সমাধান করতে পারি।
জবাবে ট্রাম্প বলেন, কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি বসে সমাধান করে ফেলতে পারবে বলে আশা করছি। তিনি একবারও মধ্যস্থতার কথা উল্লেখ করেননি।
কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিশেষাধিকার প্রত্যাহারের পর মোদী - ট্রাম্প প্রথম সাক্ষাতে কী আলোচনা হয় তার দিকে চেয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। কাশ্মীরে ভারতের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের পর অন্তত ৩ বার মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমরা কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) সত্যিই মনে করেন, তিনি কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলছে এবং আমার স্থির বিশ্বাস, তারা (ভারত ও পাকিস্তান) এমন কিছু করতে সক্ষম হবে, যা খুবই ভালো।
তবে এদিন মানবাধিকারের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই তোলেন ট্রাম্প। কোনোভাবেই যেন কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয় সে বিষয়টি নজর রাখার জন্য মোদিকে অনুরোধ করেন।
আরএম/