আওয়ার ইসলাম: সিরিয়ার ইদলিবে তুরস্কের একটি পর্যবেক্ষণ ঘাঁটির চার পাশে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সৈন্যদের অবস্থানকে ঘিরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত শুক্রবার ওই এলাকায় খুব কাছাকাছি মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে তুর্কি ও আসাদের সৈন্যবাহিনী। তাই তুরস্ক-সিরিয়া যুদ্ধের উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তুরস্কের সমর্থিত বিদ্রোহীদের দ্বারা পরিচালিত অঞ্চলটিতে সিরিয়ার সরকার অভিযানের মধ্যে উভয়পক্ষের সেনাবাহিনীর কাছাকাছি চলে আসার বিষয়টি উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তুলেছে।
বিষয়টি নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান দামেস্কের প্রধান সহযোগী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে এক ফোনালাপে তার উদ্বেগের কথা জানান।
এরদোগান পুতিনকে বলেন, সিরিয়া সরকারের হামলা একটি বড় ধরনের মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে এবং সিরিয়ার সঙ্কটের সমাধানের চেষ্টাকে ক্ষুণ্ন করেছে। সিরিয়ায় ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ নিতে আসাদ সরকার সর্বাত্মক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
ফোনালাপে এরদোগান পুতিনকে বলেন, ‘এসব হামলা তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।’ অন্য দিকে ক্রেমলিন বলেছে, ‘এ অঞ্চল থেকে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদী হুমকি হ্রাস করার লক্ষ্যে দুই নেতা পারস্পরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।’
আগামী মঙ্গলবার পুতিনের সাথে দেখা করতে এরদোগান মস্কো সফরে যাচ্ছেন বলে জানা যায়। একটি সরকারি সূত্র মিডল ইস্ট আইকে এ তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথেও এরদোগান কথা বলবেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মে মাসের শুরুতে একটি পর্যবেক্ষণ ফাঁড়িতে সিরীয় বাহিনীর কামান হামলায় দুই তুরস্ক সেনা আহত হয়েছেন। এ ছাড়াও আরো তিনটি হামলা এই প্রশ্ন জাগিয়েছে যে এটি কী পরিকল্পিত নাকি আঙ্কারাকে চাপে ফলতে করা হয়েছে।
আর এ ব্যাপারে রাশিয়া অবগত রয়েছে। হুলুসি আকার বলেন, তুরস্ক বাহিনী যেখানে আছে, সেখান থেকে এক পা পেছাবে না। তারা তাদের অবস্থানেই থাকবে। সূত্র: মিডলইস্ট আই
-এটি