আওয়ার ইসলাম: ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে ১৪ দিন ধরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি রয়েছে।
এ কড়াকড়ি রয়েছে টেলিফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবার ওপরও। রাজ্যটিকে দেওয়া বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বাতিলের অংশ হিসেবে এ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।
খুব বড় আকারের কোনো সংঘর্ষ ছাড়া স্বাধীনতা দিবস ও ঈদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গোটা উপত্যকায় ধাপে ধাপে বিধি-নিষেধ তোলা হবে। বেশ কিছু জায়গায় শিথিল হয় কারফিউ।
গত শনিবার পাঁচটি জেলায় ২-জি ইন্টারনেট পরিষেবার পাশাপাশি চালু হয় টেলিযোগাযোগও। কিন্তু সন্ধ্যা থেকেই জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়।
প্রশাসনের মতে, নেট পরিষেবা চালু হতেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, তার কারণেই ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ফলে উত্তেজনা রুখতেই যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফের বিধি-নিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রশাসনের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, ১৪ দিন থমকে থাকা জনজীবনকে স্বাভাবিক করে তোলা খুব সহজ নয়। একটু একটু করে উপত্যকা সচল করতে চাইছে প্রশাসন।
আগামীকাল সোমবার ১৯০টি স্কুল খুলে দেওয়া হবে শ্রীনগরে। শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই স্কুল-সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মির পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিংহ একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এখন আমাদের মূল লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে চাপে রাখা।
সাধারণ কাশ্মিরি যুবকদের যেন কোনোভাবেই তারা ভুল পথে চালনা না করতে পারে, সেদিকেই নজর রাখছি আমরা।’
-এটি