আওয়ার ইসলাম: আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জম্মু-কাশ্মীর। ইতোমধ্যে জম্মুতে শিথিল করা হয়েছে কারফিউ। শুক্রবার কড়াকড়ি শিথিল করা হয় কাশ্মীরের কিছু এলাকায়।
এদিন মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এ অঞ্চলের বড় প্রার্থনাস্থল শ্রীনগরের জামা মসজিদ বন্ধ থাকলেও জুমার নামাজের পর উপত্যকাজুড়ে বিক্ষোভ করে কাশ্মীরি জনগণ। বিক্ষোভকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষেও হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পিলেট গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছোড়ে পুলিশ।
হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এর মধ্যেই স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আগামী সোমবার থেকে ধাপে ধাপে স্কুল-কলেজ ও অফিস-আদালতসহ সব সরকারি দফতর খুলে দেয়া হবে।
সপ্তাহের শেষ দিকে মোবাইল-ল্যান্ডফোন নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবাও চালু করা হবে। প্রায় ১৩ দিন ধরে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাশ্মীরিরা।
কাশ্মীর প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা ও পুলিশের বরাতে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
এর আগে ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বিলোপের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও স্বায়ত্তশাসন বাতিল করা হয়। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ও অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা থেকে একদিন আগেই কাশ্মীরকে ‘খাঁচাবন্দি’ করা হয়।
আগে থেকে মোতায়েন ৫ লাখ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগ করা আরও প্রায় ৩৫ হাজার সেনা-পুলিশ। ইন্টারনেট এবং ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। কাঁটাতার আর ব্যারিকেড ফেলে বন্ধ করা হয় সব রাস্তাঘাট। নিষিদ্ধ করা হয় বিক্ষোভ-সমাবেশ।
চলতি সপ্তাহে বুধবার জম্মুতে কারফিউ ও কড়াকড়ি সম্পূর্ণ তুলে নেয়া হয়েছে। তবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় উপত্যকার বেশিরভাগ এলাকায় সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।
চারশ’র বেশি রাজনৈতিক নেতা এখনও আটক উপত্যকায়। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাহসহ মূলধারার রাজনৈতিক নেতা গৃহবন্দি।
কারফিউ ও তথ্য যোগাযোগ ও ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে একটি মামলার প্রেক্ষিতে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট বলেছেন, এক রাতে কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। ওখানে শান্তি ফেরাতে সময় লাগবে। কেন্দ্র সেই সময় নিক। আমরা চাই উপত্যকায় শান্তি বিরাজ করুক।
-এএ