বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


'৭০ বছরে যা সম্ভব হয়নি, ৭০ দিনে তা করে দেখিয়েছি'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কাশ্মীরে এখনো বহাল কারফিউ, কাঁটা তার বিছিয়ে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে অলি-গলি, চারিদিকে ভারী বুটের শব্দ।

ভারত শাসিত কাশ্মীরের এমন পরাধীন পরিস্থিতিতে দিল্লীর লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে স্বাধীন ভারতে নরেন্দ্র মোদী দাবি করলেন, গত ৭০ বছরে যা করা সম্ভব হয়নি, তা-ই গত ৭০ দিনে করে দেখিয়েছে তার সরকার। বাস্তব হয়েছে বল্লভ ভাই পটেলের এক দেশ এক সংবিধানের স্বপ্ন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-এর কাশ্মীরে যাওয়ার জল্পনা ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। কাশ্মীরের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়াই যে তার প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, তা ভারতের স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতায় বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী।

কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে মোদীর দাবি, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদই দ্বিতীয় দফায় তার সরকারের প্রারম্ভিক বড় সাফল্য।

কাশ্মীরের চলতি অচলাবস্থা নিয়ে আক্রমণের মুখে পড়তে শুরু করেছে মোদী সরকার। অবিলম্বে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ করতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। যত দিন যাবে, বিরোধী আক্রমণের সুর যে তত চড়বে তা প্রশাসনের অজানা নয়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেয়াও শুরু হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রোহিত কানসল জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) থেকেই রাতের বিমান চলাচল সচল হয়েছে শ্রীনগর বিমানবন্দরে।

শহরটির বেশ কিছু এটিএম ঠিকমতো চলছে না, সেগুলি অবিলম্বে মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এ সব প্রশাসনিক পদক্ষেপের পাশাপাশি শুক্রবার কাশ্মীর পরিস্থিতির জন্য ফের নাম না করে কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন মোদী। তিনি বলেন, বিরোধীরা ফেলে রাখার ফলেই ৭০ বছরে ওই সমস্যার সমাধান হয়নি। যা বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে শক্তি জুগিয়েছে।

পরিবারতন্ত্র ফুলেফেঁপে উঠেছে, বেড়েছে স্বজনপোষণ ও দুর্নীতি। মোদী বলেন, 'সংসদের উভয় কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় কাশ্মীর সংক্রান্ত বিল পাশ হয়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত, সবাই এটাই চাইছিলেন।'

মোদীর মতে, ৭০ বছর ধরে অনেকে চেষ্টা করা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত ফল আসেনি। লক্ষ্যপ্রাপ্তি অধরা থাকলে নতুন করে ভাবতে হয়। তার সরকার সেটাই করেছে।

বিতর্কিত তিন তালাক বিলও এ বার পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। মোদীর মতে, এত দিন সংখ্যালঘু নারীরা ভয়ে-ভয়ে জীবন কাটাতেন। তিন তালাক রদ হওয়ায় তারা জোর পাবেন।

মোদীর প্রশ্ন, বহু সংখ্যালঘু দেশ ইতোমধ্যেই ওই প্রথা রদ করেছে। আমাদের দেশেও অতীতে সতীদাহ, বাল্যবিবাহ রদ হয়েছে। পণপ্রথার বিরুদ্ধে মানুষ সরব হয়েছে। তা হলে কেন তিন তালাকের মতো প্রথা বাতিল হবে না?

-এটি


সম্পর্কিত খবর