আওয়ার ইসলাম: কাশ্মীরের ওপর জারি নিষেধাজ্ঞাগুলি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই উঠতে চলেছে, আজ শুক্রবার এমনটাই ঘোষণা করা হল ভারত কেন্দ্রের পক্ষ থেকে।
গত দশ দিনেরও বেশি সময় ধরে সেখানে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছিল যোগাযোগ মাধ্যমকে। সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
তারই জবাবে আদালতকে সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর ভরসা করার অনুরোধ জানায় কেন্দ্র। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয় সুপ্রিম কোর্টকে, যে প্রতিদিনই উন্নত হচ্ছে জম্মু-কাশ্মীরের পরিবেশ-পরিস্থিতি।
নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন যোগাযোগ মাধ্যম পুনরায় চালু করার আর্জি জানান। তাঁর দাবি, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সংবাদমাধ্যম।
একই সঙ্গে কাশ্মীর এবং জম্মুর কয়েকটি জেলায় সাংবাদিকদের যাতায়াতে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই বিধিনিষেধ। ফলে, কাজের খাতিরে তাঁরাও নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আবেদন জানান কেন্দ্রেকে।
এ প্রসঙ্গে, সরকার পক্ষের আইনজীবী কে কে বেণুগোপাল বলেন, কাশ্মীর টাইমস পত্রিকাটি জম্মু থেকে প্রকাশিত হয়, শ্রীনগর থেকে নয়। ফলে, এই নিষেধাজ্ঞায় প্রায় বন্ধের মুখে পত্রিকার সমস্ত কাজ। সুপ্রিম কোর্টের মতে, সংবাদমাধ্যম এবং যোগাযোগ মাধ্যমের মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সবার আগে বিবেচনা করা হবে। ধন্যবাদ দিদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোয় পাল্টা বললেন কেজরিওয়াল
৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণার সময় থেকেই যোগাযোগ ব্যবস্থায় দেশের থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে জম্মু-কাশ্মীর। গত ১০ দিনেরও বেশি ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা স্থগিত রয়েছে দুই জেলায়। কার্ফ্যু জারি বেশ কিছু অঞ্চলে।
সেই নিষেধাজ্ঞায় প্রকাশিত হতে পারছে না তাঁর দৈনিক সংবাদপত্র, এমনই অভিযোগ সম্পাদকের। এরপরেই কেন্দ্রের তরফ থেকে শীর্ষ আদালতে বিষয়টি পুর্নবিবেচনার আর্জি জানানো হয় বলে খবর।
-এটি