আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিলে বাধা দিয়ে সরকার দেশটির দালালি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।
তিনি বলেন, ভারতে মুসলমানরা নির্মমভাবে নির্যাতিত হচ্ছে, আমরা তার প্রতিবাদে গত ৩০ জুলাই’১৯ইং তারিখ ভারতীয় দূতাবাস অভিমূখে গণমিছিল কর্মসূচি দিয়েছিলাম। সেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে সরকার ভারতের দালালের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ আইএবি চত্বরে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে এ পর্যন্ত সরকার কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এমনকি নিজেদের ব্যর্থতার দায় এড়াতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাও প্রকাশ করছেনা তারা। বেসরকারি ও সরকারি তথ্যের মাঝে রয়েছে বিশাল পার্থক্য। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ৫৩ জনের মৃত্যুর দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারেনা।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বক্তব্যে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ ফজলুল করীম মারুফ।
তিনি বলেন, মুক্তিকামী সচেতন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা এমন একটি কাফেলা গড়ে তুলতে চাই, যারা নৈতিকতার প্রশ্নে ঘুমন্ত ছাত্রসমাজের বিবেক জাগ্রত করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য কাজ করবে।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ মুস্তাকিম বিল্লাহ-এর সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক ও চরমোনাই ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতী সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা বরকত উল্লাহ লতিফ, মাওলানা নূরুল ইসলাম আল-আমিন সহ কেন্দ্রীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এম. হাছিবুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল করীম আকরাম, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল জলিল, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক কে.এম.শরীয়াতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক ইউসুফ আহমাদ মানসুর, অর্থ ও কল্যাণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মাদ ওসমান গণী, কলেজ সম্পাদক এম এম শোয়াইব, আলিয়া মাদরাসা সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ সালমান, স্কুল সম্পাদক শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক নূরুল বশর আজিজী, সদস্য এম এ হাসিব গোলদার, মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন, ঢাবি শাখা সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি মাহদী হাসান, উত্তর সভাপতি মুনতাসির আহমাদ, দক্ষিণ সভাপতি আল আমিন সিদ্দিকী, পশ্চিম সভাপতি মনোয়ার হোসাইন প্রমূখ।
আরেএম/