আওয়ার ইসলাম: গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যুক্তরাষ্ট্রে এটি তার প্রথম সরকারি সফর। সফরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম সফরের এক ম্যাচেই পাঁচ পাঁচটি ছক্কা হাকিয়েছেন ইমরান খান।
২২ গজের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান ২২ বছর রাজনীতি করে পাকিস্তানের ২২তম প্রেসিডেন্ট হন গত বছর। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাকে।
সবশেষ গত সপ্তাহে তার যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে এবারের সফরে ইমরান খান দাঁও মেরেছেন বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
যুক্তরাষ্ট্র সফরে ইমরান খান পাঁচটি সাফল্য পেয়েছেন বলে দ্য ডিপ্লোম্যাট ডটকমের এক প্রতিবেদনে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন বিখ্যাত ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উমায়ের জামাল।
১. ইমরানের খানের সফরের পর থেকে আফগানিস্তান ইস্যুতে পাকিস্তানের বেশ প্রশংসা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে তালেবানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান আলোচনায় ইমরান খান নিজেকে কেন্দ্রীয় খেলোয়াড়ের যায়গায় বসাতে পেরেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২. সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানকে সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সফরে ইমরান সন্ত্রানবাদ নিয়ে বেশ সুখকর সময় কাটিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তার গৃহীত পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র বেশ সন্তুষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।
৩. ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরাজমান সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ইমরান খান বা পাকিস্তানের জন্য এটি একটি অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তি। যদিও ভারতের জন্য বিষয়টি বিব্রতকর।
৪. এই সফরের মাধ্যমে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা ও সামরিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দেয়া যে সহায়তা গত বছর স্থগিত করেছিলেন ট্রাম্প তা আবার চালু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
৫. পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের সব আমলাতান্ত্রিকতা কাটিয়ে ট্রাম্প ও ইমরান খান এক মধুর সম্পর্কে আবদ্ধ হয়েছেন। দুই দেশের প্রধানের মধ্যে যোগাযোগে একটি সরাসরি লাইন (হট লাইন) স্থাপন করতে যাচ্ছে। দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো সমাধানে ইমরান খান এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারবে।
আরএম/