আওয়ার ইসলাম: দেশব্যাপী চলতে থাকা মুসলিমদের ‘গণপিটুনি’ বন্ধে আদালতের নির্দেশিকা অনুযায়ী ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
আজ শনিবার কেন্দ্রীয় সরকার এবং সংশ্লিষ্ট ১০টি রাজ্য সরকারের কাছে এর জবাব চেয়েছেন দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ।
গুজরাত, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও কাশ্মির। দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের সুপারিশ সত্ত্বেও ভিড় জমিয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘু মুসলিমদের একের পর এক মারধরের ঘটনায় মোদি সরকারের ভূমিকা নিয়ে জোর বিতর্ক উঠেছে। ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা নানা অজুহাতে মুসলিমদের ওপর মধ্যযুগীয় বর্বরতা চালাচ্ছেন।
প্রতিদিনই এ ধরনের ঘটনা ঘটতে থাকায় বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থে মামলা করে একটি সংগঠন। এর প্রেক্ষিতে দেশটির প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চাইল।
এর বছরখানেক আগে অব্যাহত গণপিটুনি বন্ধে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে নতুন আইন তেরি করতে শুপারিশ করেছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ। সেইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোকে নির্দেশিকাও তৈরি করে দিয়েছিল আদালত।
২০১৮ সালের ১৭ জুলাইয়ের ওই রায়ের পর গত এক বছরে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হলেও নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর গণপিটুনির সঙ্গে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে মুসলিমদের। এতে অস্বীকৃতি জানালে বধেড়ক মারধর ছাড়াও প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে চলেছে।
-এটি