মুফতি ফয়জুল্লাহ
রাজনীতিবিদ
বরগুনায় রিফাত শরীফকে রাস্তায় ফেলে, স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে, নৃশংসভাবে, কুপিয়ে হত্যার বর্বরতম ঘটনায় আজ লাল নীল কষ্টে ভাসছে বাংলাদেশ। রিফাত শরীফের জন্য হাহাকার করছে সব মানবিক মন। এ কষ্টের যন্ত্রণা গভীর। আমি একা নই সারা বাংলাদেশ আজ কষ্টের যন্ত্রণায় কাতর।
আমি ক্ষুব্ধ,হতবাক। ক্ষুব্ধ সারা দেশের মানুষ। রিফাত শরীফের ওপর এই নির্মম ও ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফসল কিনা? তা গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে। আমি মনে করি, বিভিন্ন সময় সংগঠিত সহিংসতার ঘটনাগুলোর ইনসাফ ভিত্তিক বিচার হলে,ইনসাফের সংস্কৃতি চালু হলে আজকের এ অবস্থার সৃষ্টি হতো না-নিঃসন্দেহে।
জানা যায় হত্যাকাণ্ডের সময় রিফাতের স্ত্রী ছাড়া কেউ তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। বাংলাদেশের জন্য এটি এক বিপদজনক দিক। আগ্রাসী জালিমের হামলার মুখে আজ অরক্ষিত দেশের আইন, প্রচন্ড ভাবে অরক্ষিত দেশের আদর্শিক সীমান্তও। আমি এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুদ্ধ, বাক্রুদ্ধ ও উদ্বিগ্ন।
জালিমের হামলা প্রতিরোধের দায়ভার প্রতিটি মানুষের, প্রতিটি আলেম, প্রতিটি শিক্ষক, প্রতিটি ছাত্র ও প্রতিটি নাগরিকের । এ লড়াই হতে হবে কোরআনী জ্ঞানের তরবারী দ্বারা। ইসলামে এটিও জিহাদ। জিহাদের অংশ হিসেবেই হত্যাকারী, জালিমদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করতে হবে।
(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া )
আরএম/