আওয়ার ইসলাম: বাগেরহাটে পুকুরে পুঁতে রাখা সাত বছর বয়সী মাদরাসা শিক্ষার্থী ফারিয়ার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত মিনহাজুল আবেদিন শোয়েব (১৯) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।
রোববার সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামে দিঘিরজান খালের চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফারিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ফারিয়া পাতিলাখালি গ্রামের ওমর আলী শেখের মেয়ে। পার্শ্ববর্তী কোন্ডলা গ্রামের বড়ু বিবি ক্যাডেট মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
আটক শোয়েব পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের নূর ইসলাম ওরফে ইমন হাওলাদারের ছেলে এবং ওমর আলীর বড়ভাই লিয়াকত শেখের মেয়ে শেফালীর ছেলে। শোয়েব তার নানা লিয়াকত আলীর বাড়িতে ছোটবেলা থেকে থাকত।
ফারিয়ার পরিবার ও এলাকাবসীর বরাতে জানা য়ায়, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আম খাওয়ানোর কথা বলে ফারিয়াকে প্রতিবেশী রাজ্জাকের বাড়ির পাশের বাগানের মধ্যে নিয়ে যায় শোয়েব। পরে সেখানে ধর্ষণের পরে হত্যা করে বাগানে প্রথমে মাটির নিচে লাচ লুকানোর চেষ্টা করে, পরে পাশের একটি পুকুরে পুঁতে রাখা হয় ফারিয়াকে। সন্ধার পরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ওই পুকুরের মধ্যে পুঁতে রাখা মেয়েটির লাশ পায় স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ আফজাল বলেন, এ ঘটনায় মিনহাজুল আবেদিন শোয়েবকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিনহাজুল ফারিয়াকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হতে পারে, তবে ময়না তদন্ত শেষে সঠিক তথ্য জানা যাবে।
আরএম/