আওয়ার ইসলাম: ২০১১ সালের কথা। এক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন ফোরকান মিয়া। চিকিৎসা নিতে গেলে পাঁচটি হাসপাতাল তাকে ‘ডেড বডি’ বলে ফিরিয়ে দেয়।
সেই ফোরকান মিয়া অনেকটা অলৌকিকভাবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। ফোরকান মিয়ার বাড়ী গাজীপুরে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনা পরবর্তী সময় বেঁচে আছেন তিনি। আর এ কারণে এলাকার লোকজন তাকে ‘বোনাস মোল্লা’ নামেই ডাকেন। বোনাস হিসেবে পাওয়া বাকি জীবনটা মানুষের সেবায় নিয়োজিত করতে চান গাজীপুরের বোর্ড বাজারের এ সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
তার পরিবারের দুর্দশা তিনি নিজের চোখে দেখেন অসুস্থ থাকার সময়। একটা লোক অসুস্থ হলে তাদের পরিবার কি অসহায় হয়ে পড়ে ওই সময়টাতেই বুঝতে পারেন তিনি। আর এ উপলব্ধি থেকেই তার এই ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।
তিনি বলেন আল্লাহকে খুশি করার উদ্দেশ্যে আমি কাজটা শুরু করি। আল্লাহ বলেছেন, আমাকে পেতে হলে আমার সৃষ্টিকে ভালোবাসো। আর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ হলো মানুষ। সেই মানুষকে একটু সহযোগিতা করার চেষ্টা করছি।
অনেক সময় রাস্তায় দেখা যায় অনেক গরীব অসুস্থ রোগী বাসে উঠতে পারে না অথবা বাসে তাদের নেয় না; অ্যাম্বুলেন্স/অটোরিকশায় যাবেন সেই ভাড়া নেই।
তিনি তাদের ডেকে নেন এবং ফ্রি তে পৌঁছে দেন হাসপাতাল। যাদের একেবারে ফ্রি নেন তাদের নাম-ঠিকানা মোবাইল নম্বর একটি ডায়েরিতে লিখে রাখেন। তার ফ্রি সেবা দেওয়া অধিকাংশ রোগীই প্রতিবন্ধী।
গাড়িতে একটি দানবাক্স রেখেছেন। যেসব রোগীর ওষুধ কেনার সামর্থ্য নেই তাদের সেই টাকা থেকে ওষুধ কিনে দেন। নিজের ভিজিটিং কার্ড বানিয়ে সবাইকে বিতরণ করেন। কোনো অসুস্থ গরীব রোগীর সাহায্যের প্রয়োজন হলে তাকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি।
-এটি