আওয়ার ইসলাম: গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সরকারের টেলিযােগাযােগ মন্ত্রণালয় কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়। যার কারণে বড় ধরনের খেসারত দিতে পারে গ্রামীনফোন গ্রাহকরা। প্রভাবশালী এই মােবাইল অপারেটরটিকে শাস্তি দিতে সরকারের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত কিনা খড়গ হয় গ্রাহকদের।
বর্তমানে যেকোনাে মােবাইল অপারেটরের সর্বনিম্ন কলরেট হচ্ছে মিনিটে ০.৪৫ টাকা। মূল্য সংযােজন ও অন্যান্য কর যােগ করলে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ০.৫৪ টাকা।
তবে বাজারের গড় কলরেটের চেয়ে গ্রামীণফোনেরটা এমনিতেই বেশি। বাজারের গড় কলরেট হচ্ছে ০.৭০ টাকা। সে ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের ডেটা বা উপাত্ত চার্জ বাড়ানাে হতে পারে।
তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধর (এসএমপি) অপারেটর ঘােষণার বিধিনিষেধের আওতায় গ্রামীণফোনের সর্বনিম্ন কলরেট বাড়ানাের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ওই বৈঠকে। বৈঠকে গ্রামীণফোনের সেবার মান বাড়ানাের দাবির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুবা নতুন গ্রাহক পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের বাধার মুখে পড়তে হতে পারে।
গ্রামীণফোনের কলড্রপ ২ শতাংশের বেশি হতে পারবে না বলেও বিধিনিষেধে বলা হয়েছে। বিটিআরসির প্রতিবেদন বলছে, গত ৬ থেকে ৮ নভেম্বর গ্রামীণফোনের কলড্রপ ছিল ৩.৩৮ শতাংশ, যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেক বেশি।
আধিপত্য বজায় রাখতে গ্রামীণফোনকে দেশজুড়ে বিজ্ঞাপন প্রচার না করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া নম্বর পরিবর্তন না করে অন্য অপারেটরে ব্যবহারের সেবা (এমএনপি) সুবিধার আওতায় গ্রামীণফোন ছাড়তে গ্রাহকদের সহজ করে দেয়া হয়েছে।
আরএম/