আওয়ার ইসলাম: ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ শরীফকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ফেনী পিবিআইয়ের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
এর আগে নুসরাত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার তিন সহপাঠীকে গ্রেফতার করে পিবিআই। দুই সহপাঠীকে সোমবার দুই দফা অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তার আগে গ্রেফতার করা হয় আরেক সহপাঠীকে। এরা হলেন, শামীম, পপি ওরফে শম্পা এবং কামরুন্নাহার মনি। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
তার আগে এ হত্যা মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার দেখায় পিবিআই। এরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজউদ্দৌলা, কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুকছুদ আলম, শিক্ষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেন, কেফায়াত উল্লাহ জনি, মোহাম্মদ আলা উদ্দিন, শাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ সিরাজের ভাগনি উম্মে সুলতানা পপি, জাবেদ হোসেন, যোবায়ের হোসেন, নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন, মো. শামীম ও কামরুন্নাহার মনি।
মামলার এজহারভুক্ত আটজনের মধ্যে সাত আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাফেজ আবদুল কাদের নামে এজহারভুক্ত আরও এক আসামি পলাতক আছেন। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে নুসরাতের আরেক সহপাঠী জান্নাতুল আফরোজকে আটক করে পিবিআিই।
এদিকে,মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যায় সরাসরি জড়িত তার সহপাঠী কামরুন্নাহার মনির পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কেরোসিন ও বোরকা কিনে এনেছিল মনি। এছাড়া ঘটনাস্থলেও উপস্থিত ছিলেন মনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আরএম/