শায়খ আহমাদুল্লাহ
গবেষক আলেম ও দাঈ
একজন অভিনেত্রী ও মডেল একটি রেডিও অনুষ্ঠানে বলেছেন-তিনি পরকালে বিশ্বাস করেন না। যা দেখেন না তা তিনি বিশ্বাস করেন না। তার এ কথায় কিছু মানুষেরর প্রতিক্রিয়া দেখে অবাক হইনি তবে দু:খ পেয়েছি।
প্রথমত: মুসলিমদের মধ্যে সংশয়বাদিতা ও নিরব নাস্তিক্যবাদ দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করেছে। শুধু উক্ত অভিনেতা একা নন, হাজার হাজার বরং লাখো লোক এখন সংশয়বাদি কিংবা সেমি বা সিকি নাস্তিক। সামাজিকতার ভয়ে মনের কথাগুলো তারা খুলে বলতে পারেন না।
সুতরাং অভিনেতার প্রতি ক্ষোভ না ঝেড়ে মূল সমস্যাটা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। এ ধরণের লোকদের সংশয়গুলো দুর করে ইসলামের প্রতি অস্থাশীল করতে আমরা কতোটা উদ্যোগী? আমরা বরাবর ব্যস্ত কেবল নিজেদের মধ্যে শক্তি ক্ষয়ে।
দ্বিতীয়ত: আলোচিত নারী পরকালকে বিশ্বাস করেন না বলে নিজের অবস্থান জানিয়েছেন। এ কারণে তাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করার কি কারণ থাকতে পারে? তাকে যথাযথভাবে ঈমানের পথে আহবান কিংবা যৌক্তিকভাবে তার কথা খণ্ডন না করে ব্যক্তিগত বিষয়ে বাজে মন্তব্য বা গালমন্দ করা ইসলামের কোন্ শিক্ষা?
আপনি নিজে পরকালকে বিশ্বাস করে থাকলে তো কাউকে গালমন্দ করার কথা না। আল্লাহর ওয়াস্তে নিজের মূর্খতা নিয়ে ইসলামকে ডিফেন্ড করতে এসে ইসলামকে হেয় করবেন না। তাছাড়া প্রতিবাদের নামে নিজের অজান্তেই আপনি তার মার্কেটিং করছেন।
দয়া করে অনলাইনে ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার আগে অন্তত ২ বছর ভালো ভালো ইসলামিক স্কলারদের লেখা-পোস্ট নিয়মিত ফলো করুন। নিজে আগে ইসলাম বুঝুন, ইসলাম প্রচার শিখুন। অন্যথা আপনার দ্বারা ইসলাম ও মুসলিমদের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। আপনার অভদ্রতা ও মূর্খতা দেখে মানুষ ইসলাম থেকে আরো দুরে সরে যাবে।
(লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেওয়া )
আরএম/