শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল কুরআন-সুন্নাহর আইন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না : মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী শীত ও শৈত্যপ্রবাহ নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ফ্যাসিবাদ বারবার ফিরে আসবে, সতর্ক থাকতে হবে: গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে সরিয়ে দেয়ার ইচ্ছা জামায়াতের নেই’ শরীরে রক্ত বাড়াতে যেভাবে পালং শাক খাবেন ‘প্রকৃতপক্ষে ভুল হলে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ’

ফায়ারম্যান সোহেল রানার প্রথম জানাজা সম্পন্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়াার ইসলাম: ফায়ারম্যান সোহেল রানার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে জানাজা সম্পন্ন হয়।

সেখান থেকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।

ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের পরিচালক (অপস অ্যান্ড মেইনটেইন্যান্স) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ গণমাধ্যমকে বলেন, সকালে জানাজার আগে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানাকে সম্মান জানানো হয়েছে। বিউগলের সুর বাজিয়ে ফায়ার সার্ভিসের পতাকায় মোড়ানো সোহেল রানার কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ফায়ার সার্ভিসের চৌকস দল।
এর আগে সোমবার স্থানীয় সময় ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফায়ার ফাইটার সোহেল রানা।

সোমবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সোহেল রানার মরদেহবাহী সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

সেখানে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তাকে গার্ড অব অনার জানানো হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।

সোহেল রানার বাড়ি কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায়। বাবা নূরুল ইসলাম ও মা হালিমা খাতুন। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সোহলে রানা দ্বিতীয়। ২০১৫ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

গত ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন নিহত এবং ৭১ জন আহত হন। ওইদিন কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান সোহেল রানা উঁচু ল্যাডার (মই) দিয়ে আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে কাজ করছিলেন। ভবনে আটকে পড়া চার-পাঁচজনকে উদ্ধার করে একসঙ্গে নিচে নামানোর সময় ল্যাডারটি ওভারলোড দেখাচ্ছিল।

ওভারলোড হলে সাধারণত ল্যাডার নিচে নামে না, স্বয়ংক্রিয়ভাবে লক হয়ে যায়। তাই ল্যাডারের ওজন কমাতে সোহেল নিজেই ল্যাডার বেয়ে নিচে নামছিলেন। ল্যাডারের ওজন কমায় সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যায়। এতে তার একটি পা ল্যাডারের ভেতরে ঢুকে যায়। এছাড়া তার শরীরের সেফটি বেল্টটি ল্যাডারে আটকে পেটে প্রচণ্ড চাপ লাগে। এরপর থেকেই সংজ্ঞাহীন সোহেল।

সেখান থেকে উদ্ধার করে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে। তাকে প্রতিদিন চার ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল না। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গত ৫ এপ্রিল তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ