আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের আইনসভার প্রতিনিধি মুসলিম নারী কংগ্রেস সাংসদ ইলহান ওমরকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নিউইয়র্কে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম প্যাট্রিক কারলিনিও (৫৫)। তিনি ইলহান ওমরের ওয়াশিংটন অফিসে ফোন করে তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। ইলহান ওমরকে তিনি মিসরের নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য বলে দাবি করেন। গুলি করে তাঁর মাথার খুলি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, গত ২১ মার্চ ইলহাম ওমরের একজন কর্মচারীকে আটক প্যাট্রিক কার্লিনো ফোন করে বলে, তুমি কি এই মুসলিম নারীর জন্য কাজ কর? সে তো একজন সন্ত্রাসী। আমি তাকে হত্য করব।
প্যাট্রিককে গত শুক্রবার এফবিআই গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তিনি সগর্বে বলেন, ‘আমাদের বাপ-দাদারা বেঁচে থাকলে ইলহান ওমরকে গুলি করে হত্যা করতেন।’
আটককৃত আসামী নিজেকে ট্রাম্প সমর্থক দাবি করে বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অনুসারী। আমি মুসলিমদের ঘৃণা করি।
গত বছরের শেষের দিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে প্রথম মুসলিম নারী কংগ্রেস সদস্য হিসেবে কোরআন শরীফের ওপর হাত রেখে শপথ নিয়ে ইতিহাস গড়েন ইলহান ওমর। বিপুল সংখ্যক নারীর অংশগ্রহণ ও অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দু’জন মুসলিম নারী শপথ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রতিনিধি পরিষদ বৈচিত্রময় রূপ নিয়েছে।
মিনে সোটার ডেমোক্রেট দল থেকে নির্বাচিত ইলহান ওমর আগেও বেশ কয়েকবার মার্কিন রাজনীতির ওপর ইসরায়েল ও ইহুদিবাদী লবির বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনা করেছিলেন।
এরপর শুরু হয় নানা সমালোচনা ও ষড়যন্ত্র। সমালোচকরা ‘ইহুদি-বিদ্বেষের’ অস্ত্রে ঘায়েল করতে চায় ইলহান ওমরকে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন- বক্তব্য না, বরং ব্যক্তি ইলহান ওমরই সমালোচকদের প্রধান টার্গেট।রিপাবলিকানরা বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারংবার ভীষণ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এমএম/